শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০১৯, ১১:২৭ দুপুর
আপডেট : ১১ জুন, ২০১৯, ১১:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের তৃতীয় স্বীকৃত জিআই পন্য ক্ষীরশাপাতি আম বিক্রি হচ্ছে না জিআই ট্যাগে

তানজিনা তানিন : বিশ্বজুড়েই জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) নিবন্ধিত পণ্য আলাদা ট্যাগ ব্যবহার করে বিক্রি হয়। বাংলাদেশের ক্ষীরশাপাতি আমের এ স্বীকৃতি থাকলেও মান নিশ্চিত করে আলাদা জিআই ট্যাগে বিক্রি হচ্ছে না। এ পণ্যের জিআই থাকায় আলাদা কদর এবং দাম বেশি পাওয়া যুক্তিযুক্ত। কিন্তু ক্ষীরশাপাতি আম এ দেশের জিআই পণ্য হিসেবে কেবল নিবন্ধিত হয়েছে। এর পরে অন্যান্য প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। সমকাল

গত ছয় মাস ধরে সনদ নিয়ে ঘুমিয়ে আছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র। জিআই নিবন্ধনের জন্য উদ্যোগ নিলেও পরে কোনো উদ্যোগ নেয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনও। এ কারণে এবার চাষিরা জিআই ট্যাগ ব্যবহার করতে  পারছেন না। ফলে অন্য বারের মতো এবারও কম দামেই স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি রফতানি করতে হবে। এ আমে জিআই নিবন্ধন ট্যাগ ব্যবহার করতে পারলে বেশি দাম পেতেন চাষিরা। সাধারণত বিশ্বজুড়ে জিআই নিবন্ধিত পণ্যের ট্যাগ দেখে ৩০ শতাংশ বেশি দাম দিয়ে কেনেন ক্রেতারা।

ডিপিডিটির কর্মকর্তারা জানান, জিআই নিবন্ধিত পণ্যের মালিকানা স্বত্ব সুরক্ষায় উৎপাদক ও ব্যবহারকারীকে আলাদা সনদ নিতে হয়। তেমনি ক্ষীরশাপাতি আমের মালিকানা স্বত্ব পেতে আম চাষিদেরও সনদ নিতে হবে। সাধারণত সনদ ছাড়া কেউ বৈধভাবে জিআই নিবন্ধিত আম উৎপাদন এবং বাজারজাত করতে পারে না। চাষিরা সনদ নিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে আম উৎপাদন করে সব গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে বাজারজাত করলে সুবিধা পেতেন। জিআই নিবন্ধিত হলে এ আমে জিআই ট্যাগ ব্যবহার করে বিক্রি করতে পারতেন। তাতে আমের ভালো মূল্যও পেতেন চাষিরা। ক্রেতারাও নিশ্চিত হয়ে ভালো আম খেতে পারতেন। রফতানিতেও বেশি দাম পাওয়া যেতো। জিআই চিহ্নিত হলে প্রতারণাও বন্ধ হতো। এখন নিবন্ধিত না হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন চাষি ও ক্রেতারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সনদ নেয়ার পরে কোনো অগ্রগতি নেই। এ বিষয়ে আমচাষিসহ সংশ্নিষ্টদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিলো। যাতে চাষিরা এ বিষয়ে অবগত হয়ে সুফল নিতে পারেন। কিন্তু ডিপিডিটি এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সভা করে অবহিত করেনি। তিনি বলেন, জিআই ট্যাগ ব্যবহারের আগে উপযুক্ত আম উৎপাদনে পদক্ষেপ নিতে হবে। সঠিকভাবে যে সব চাষি আম উৎপাদন করবে কেবল তাদের নিবন্ধন করা হবে।

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, দেশে এটি একটি নতুন প্রক্রিয়া। এই কাজ শেষ করতে সময়ের প্রয়োজন। এখানে উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের জনবল সংকটের কারণে চাষিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, জিআই ট্যাগ ব্যবহার করে আম বিক্রি করতে হলে আগে মান নিশ্চিত করতে হয়। এখন মান নিশ্চিত করার বিষয়ে কাজ চলছে। এতে সময় লাগবে। তবে আগামী মৌসুমের আগে চাষিদের জিআই নিবন্ধন করে সনদ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

ক্ষীরশাপাতি আমের আগে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য জামদানি। এর পরের জিআই পণ্য ইলিশ। এ দুটি পণ্যের মধ্যে জামদানি উৎপাদনকারী ৬৬ তাঁতি মালিকানা স্বত্ব পেয়েছেন। তারা এখন আলাদা ট্যাগ ব্যবহার করে বাজারজাত করতে পারছেন। কিন্তু ইলিশের ক্ষেত্রে এখন জেলেদের সনদ দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের পদক্ষেপ না থাকায় তেমন অগ্রগতি হয়নি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়