ফাতেমা ইসলাম : হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরেও থামছেনা ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়েটিক বেচাকেনা। শুধু তাই নয় ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি বন্ধে জেলাপ্রশাসন ও সিভিল সার্জনকে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব দিলেও দেখা যায়নি কোনো উদ্যোগ। এতে তৈরি হচ্ছে ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুকি। যদিও প্রশাসন বলছে এব্যাপারে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নেয়া হবে। চ্যানেল ২৪ ১:০০
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি বন্ধ করতে এ বছর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে নির্দেষ দেন আদালত। আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অবাধে অ্যান্টিবায়েটিক বেচাকেনার এই দৃশ্য রংপুরে সব সময়ের। পার্কের মোড় লালবাগ পায়রা চত্বর টার্মিনালসহ নগরে প্রায় সর্বত্রই চলছে অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি। কেউ কেউ আবার একবার মাত্র ডাক্তার দেখিয়েই মাসের পর মাস কিনছেন অ্যান্টিবায়োটিক।
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা মো: আব্দুল ওয়াদুদ মোস্তফা বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যদি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটা অবশ্যই অপপ্রয়োগ হবে। সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে যে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না।
রংপুর জেলা প্রশাসক মো: রুহুল আমিন মিঞা বলেন, অবাধে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে যত দ্রæত সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে সিভিল সার্জন তাদের প্রতিনিধি দিলেই আমরা এই অভিযান পরিচালনা শুরু করতে পারবো।
এক হিসাবে প্রায় আড়াই লাখ ওষুধের দোকান রয়েছে এবং অভিযোগ আছে যার বেশির ভাগেই ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করছে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :