সুজন কৈরী : রাজধানীর শনির আখড়ায় স্যুয়ারেজ লাইনের ভেতরে থাকা গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণে একটি ভবনের দেয়াল ধসে ফরিদ উদ্দিন (৫০) নামের এক টুপি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন পথচারী স্থানীয় হক বেকারির ম্যানেজার কামাল হোসেন (৪৫), ভ্যানচালক সাইদুল ইসলাম (৩০) ও ফল ব্যবসায়ী জাকির হোসেন (৩৫)। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকালে এ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নিহত ফরিদ যাত্রাবাড়ীর রসুলবাগের ৪৩ নম্বর বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী এলাকায়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, স্যুয়ারেজ মেনলাইনের মধ্যে তিতাস গ্যাসের লাইনও ছিল। গ্যাসলাইনটি লিকেজ হয়ে ভবনের তৃতীয় তলায় ওঠে। সেখানে এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (এক্সিম ব্যাংক) শাখা অফিস রয়েছে। অফিসের বাথরুমে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিষ্ফোরিত হয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়। এতে ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলার দেয়াল ধসে নিচে পড়ে যায়। এ সময় নিচে থাকা ফরিদ উদ্দিন দেয়ালচাপায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ব্যাংকের ফ্লোরে গ্যাস ছড়ানো রয়েছে। তবে ব্যাংকের এসি ব্লাস্টে না গ্যাসের লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে, এখনো নিশ্চিৎ হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়ানাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম ও ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের টিম গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় তারা সবাই নিচের সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন।
তারা জানান, ভবনটির নিচতলায় রেস্টুরেন্ট রয়েছে। বিষ্ফোরণ ঘটেছে তৃতীয়তলায় এক্সিম ব্যাংক থেকেই। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ৫ টনি এসি পড়ে থাকতে দেখা গেছে, আগুন ও গ্যাসের আলামতও পাওয়া গেছে।
তবে তারা বলেন, নির্দিষ্ট করে এখনো কোনো কারণ বলা সম্ভব নয়। ঘটনাটির অধিকতর তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :