আবু মুত্তালিব মতি, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির গোবিন্দপুর ভরনতলা মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর ঘটনা মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে গত রোববার রাতে আড়াইল গ্রামের ফের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পর পর প্রতিমা ভাংচুরে ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। সোমবার সকালে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার বি-সার্কেল কে এইচ এম এরশাদ ও ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আদমদীঘির চাঁপাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ভরণতলা কালি মন্দিরে গত ৮ জুন বিকেলে ভরণ খেলা মেলায় আমন্ত্রনণ দেয়াকে কেন্দ্র করে মন্দিরে হামলা চালিয়ে পুরোহিকে মারপিট ও কালি প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে পুলিশ শামিম ও হোসেন আলী নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে গত রোববার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা একই ইউনিয়নের আড়াইল গ্রামের মাঠে সন্যাশদর্গা নামকস্থানে অবস্থিত সন্যাশ ঠাকুর নামের প্রতিমার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে। পর পর প্রতিমা ভাংচুর ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আতংকিত রয়েছে। সন্যাশদর্গার সাধারণ সম্পাদক কাজল চন্দ্র বর্মন জানায়, তারা ওই ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিয়মিত পূজাপার্বন ও মানত করা হতো। গত রোববার পুজা শেষে পুজারিরা বাড়ি চলে যায়। গত সোমবার সকালে পুজা করতে এসে প্রতিমা সন্যাশ ঠাকুর ভাঙ্গা দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়া হয়। ওসি মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারা এ সব ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :