এখন শুধুমাত্র ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের পাসওয়ার্ড হ্যাক করেই থেমে নেই জালিয়াতরা। এখন আপনার স্মার্টফোন থেকেই প্রয়োজনীয় সব তথ্য পেয়ে যায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতরা। কারণ, বর্তমানে আমাদের স্মার্টফোন থেকেই যাবতীয় আর্থিক লেনদেন করা হয়। তাই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ বিভিন্ন পেমেন্ট মাধ্যমের সব জরুরি তথ্য, পাসওয়ার্ড সেভ করা থাকে আমাদের স্মার্টফোনেই। এই স্মার্টফোন একবার হ্যাক করতে পারলেই আপনাকে সর্বশান্ত করতে পারে হ্যাকাররা। তাই টাকা তোলার জন্য ডেবিট কার্ড বা এটিএম ব্যবহার না করলেও ব্যাঙ্ক জালিয়াতদের কবলে পড়ার আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যায়! কারণ, আপনার মোবাইল নম্বর আপনার সবকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গেই যুক্ত করা থাকে। আর আপনার এই রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা সব তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে প্রতারকরা।
কিন্তু কী ভাবে আপনার স্মার্টফোন হ্যাক করবে ব্যাঙ্ক জালিয়াতরা? এমন অনেক উপায় রয়েছে, যেগুলির যে কোনও একটি কাজে লাগিয়ে অনায়াসেই যে কোনও স্মার্টফোন হ্যাক করতে পারে ব্যাঙ্ক জালিয়াতরা। ই-মেল, হোয়াটসঅ্যাপ-এ বা ফেসবুক-এ নানা আকর্ষণীয় অফারের ভুয়ো মেসেজের লিঙ্ক পাঠিয়ে আপনার স্মার্টফোন হ্যাক করার চেষ্টা করতে পারে ব্যাঙ্ক জালিয়াতরা। এ ছাড়া ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের নিরাপত্তার জাল সহজেই কেটে আপনার স্মার্টফোন হ্যাক করার চেষ্টা করতে পারে হ্যাকাররা।
সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রি পার্সওয়ার্ড ওয়াইফাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় ‘অথেনটিকেশনের’ সমস্যা হয়। আর নিরাপত্তার এই ফাঁক গলেই চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার স্মার্টফোনে সেভ করা জরুরি তথ্য। এ ছাড়াও নিকটবর্তী কোনও ‘অ্যাকসেস পয়েন্ট’ থেকে ওয়াইফাইয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনে ঢুকে হ্যাকাররা রাউটারের সাহায্যে অনায়াসে চুরি করতে পারে জরুরি সব তথ্য। সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা একে বলেন ‘ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাক’।
তাই সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অচেনা, পার্সওয়ার্ড ছাড়া ফ্রি-ওয়াইফাই ব্যবহার করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। একান্তই যদি প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের ‘ফাইল শেয়ারিং’ নিষ্ক্রিয় করে রাখুন।
আপনার মতামত লিখুন :