স্পোর্টস ডেস্ক : ড্রেসিং রুম থাকলেও সেটি তালাবদ্ধ। বাধ্য হয়ে খোলামাঠে ড্রেস পরিবর্তন করতে হয় নারী ফুটবলারদের। মাঠে টিউবওয়েল আছে কিন্তু হাতল খোলা। রংপুরের নয়াপুকুর গ্রামের ফুটবলকন্যাদের সামনে এমন নানা প্রতিবন্ধকতা। আর এসবের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।সময়টিভি।
দীর্ঘদিন ধরে তালা ঝুলছে ড্রেসিং রুমে। ফলে পোশাক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রংপুরের নয়াপুকুর গ্রামের নারী ফুটবলারদের। শুধু তাই নয়, একমাত্র টিউবওয়েলটিও অচল। তৃষ্ণা মেটাতে তাই দূর থেকে পানি আনতে হয় তাদের। ফুটবলার ও তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণেই নানা রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
এক নারী ফুটবলার বলেন, আমাদের ড্রেসিংরুমে ঢুকতে দেয়া হয় না। এখানে কিছু প্রভাবশালী লোক আছে যারা এটি দখল করে রেখেছে। আমাদের অনেক সময় স্কুলের টয়লেটের মধ্যে, কখনো কখনো মাঠের মধ্যেই ড্রেসআপ করতে হচ্ছে।আরেকজন বলেন, আমাদের পানি খাওয়ার জন্য যেতে হয় বাজারে। সেখানে গেলে লোকে মন্দ বলে।
স্থানীয় একজন বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের কাছে বর্তমানে চাবিটি আছে। চাবিটি টিম ম্যানেজারের কাছে হস্তান্তর করা হোক। তবে নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করলেন ইউপি সদস্য জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, এখানে রমজান মাসে প্রাকটিস ছিল না। কিছু লোক আমার ওপর ব্যক্তিগত আক্রোশ দেখিয়ে ক্লাবের বিরুদ্ধে বলছে বা ওরা চাচ্ছে এখান থেকে একাডেমিটা উঠে যাক।
পদে পদে এসব বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে এখানকার নারী ফুটবলাররা। সমস্যা সমাধানে এই প্রভাবশালীদের ছায়া থেকে তাদের রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
এদিকে, জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব জানালেন, অদম্য এই নারী ফুটবলারদের স্বপ্ন পূরণে সব রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে তাদের পাশে থাকবে প্রশাসন। তিনি বলেন, একটি সুন্দর কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে আমাদের জেলা প্রশাসন থেকে যেটা করণীয় আমরা সেটা করবো।রংপুরের এই মাঠে খেলে গড়ে ওঠা নয়জন নারী ফুটবলার বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ে খেলছেন।
আপনার মতামত লিখুন :