মৌরী সিদ্দিকা : প্রতিদিন হাজারো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এদের অনেকেই দালালদের খপ্পরে পড়ে সাগর পথে বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে কেউবা জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। তাই পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সীমানা প্রাচীর দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ। এতেও আপত্তি রয়েছে জাতিসংঘের। একাত্তর ১৮ : ০০
উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে আছে রোহিঙ্গাদের জীবন-যাপনের সব উপকরণ। কিন্তু তার পরেও পুরো ক্যাম্পের সীমানায় আটকে রাখা যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের। প্রায় প্রতিদিন তারা বেড়িয়ে পড়ছে লোকালয়ে। কেউ দখল করছে শ্রম বাজার, কেউ পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে, কেউ জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে।
রোহিঙ্গারাই স্বীকার করছে পুলিশ, বিজিবি’র চেক পোস্ট ফাঁকি দেয়া যায় সহজে।
একজন রোহিঙ্গা বলেন, ‘আর্মি ধরেছিল। ছেড়ে দিয়েছে। ’
পুলিশ বলছে, লাখ লাখ রোহিঙ্গার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব। এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ক্যাম্পে সীমানা প্রাচীর গড়া।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ক্যাম্পগুলোকে ফেন্সিং এর আওতায় আনা যায়। নির্দিষ্ট কিছু এক্সিট, এন্ট্রি পয়েন্ট থাকে।
তবে সীমানা প্রাচীরে আপত্তি আছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার। তাই এ বিষয়টি নিয়ে এগানো যাবে না।
তবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে আপত্তির বিষয়টি এড়িয়ে ইউএনএইচসিআর মুখপাত্র বললেন, চলমান নানা সংকট নিরসনে সরকারের সাথে তারা কাজ করছেন।
তিনি বলেন, আমরা মানবিক ও সামাজিক দিকটিকে বিবেচনায় আনতে চাই। ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাড়াতে রোহিঙ্গাদের দ্বারা গঠিত কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আন্তজার্তিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তা বলছেন, ক্যাম্পে সীমানা প্রাচীর দেয়াটা আন্তজার্তিক আদালতের পরিপন্থি।
তাহলে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া, তা নিয়ে আপাতত কোন সমাধান দেখছেন না কেউই। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :