মোহাম্মদ মাসুদ : বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলেও দেশে ধনী-গরীবের আয় ও সম্পদের বৈষ্যম বাড়ছে। গ্রামের তুলনায় নগরে দারিদ্রের হার ব্যাপকহারে বাড়ার ফলে বাড়ছে বস্তি ও ভাসমান মানুষ। আগামী বাজেটে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টিতে প্রাধান্য দিতে বলেছেন অর্থনীতিবিদরা। একাত্তর টিভি
যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলটেক্সের তথ্য অনুযায়ী অতি ধনী বৃদ্ধির দিকে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। আর ধনী মানুষের সংখ্যা বাড়ার দিক থেকে বিশে^ তৃতীয়। বিশ^ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে অতি গরীর মানুষের সংখ্যা বেশি এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।
অর্থনীতিবিদ ডা. কাজী খালিকুজ্জামান আহমদ বলেন, বিশেষকরে ওপরে পর্যায়ে যারা আছেন, তাদের আয় বাড়ছে আর নিচে যে ১০ শতাংশ, তাদের জাতীয় আয়ের অংশ কমে যাচ্ছে। এটা হচ্ছে আয় বৈষম্য। এখানে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বৈষ্যমটা বাড়ছে। তাছাড়া দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষের হাতে সম্পদ প্রচুর পরিমাণে চলে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নীতি এবং অনেকগুলো পদক্ষেপ ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাস্তবায়নে। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গিয়ে দেখা যায় কিছু মানুষ, যারা ওপরের পর্যায়ে রয়েছেন। তারা একটু আত্মতুষ্টিতে ভোগেন। যে অনেক হয়েছে আমরা এখন মধ্যম আয়ে চলে যাচ্ছি। এর ফলে হয় গাফিলতি এবং সেই কারণে সময়মত আমাদের বাজেট বাস্তবায়ন হয়না।
সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ডা. এ বি মির্জা আজিজল ইসলাম বলেন, অর্থনীতির বিকাশের সাথে সাথে আয়ের বৈষ্যম বাড়ে। বৈষ্যমর মাত্রা বেশ উচু মাত্রায় চলে গেছে। কাজেই মাত্রাটা যাতে কমানো যায় সে চেষ্টা করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষাখাতে অপেক্ষাকৃত নিন্ম আয়ের যে পরিবারগুলো রয়েছে, তাদের একসেস নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে আমাদের দেশে একটা বড় সমস্যা অন্য একটি হচ্ছে সামাজিক নিরাত্তা। এখানে আমাদের বরাদ্দ অনেক কম।
কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সানইয়াত বলেন, দেশে নীতি নির্ধারকরা নগর দরিদ্রদের নিয়ে ভাবছেনা। এই যে সংখ্যাটা পর্যায়ক্রমে বাড়ে চলছে, এটা নিয়ে চিন্তা করছেনা।
নগর গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান করা, আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। তাদের আায় এতোটাই কম যে, সরকারের উচিত তাদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া। সম্পাদনায় : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :