জুয়েল খান : সড়কে রাইডভিত্তিক বাইকচালকদের বেপরোয়া আচরণ রোধ করতে হবে, কারণ তারা কোনো আইন মানে না, ট্রাফিক সিগনাল মানছে না এবং ট্রাফিক পুলিশ তাদের আটকাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় সড়কে এদের নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) একেএম শামসুদ্দিন।
তিনি বলেন, সা¤প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল চালকের সংখ্যা বহুগুণে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বাইক রাইডার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মোটরবাইক চালিয়ে আয় করার ফলে বাণিজ্যিকভাবে মোটরবাইক চালকের সংখ্যা বাড়ছে। এই বাড়তি মোটরবাইক চালকের কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ নেই এবং তাদের ট্রাফিক সিগনাল সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকা সত্তে¡ও বহাল তবিয়তে সড়কে বাইক চালাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই চালকেরা যদি ট্রাফিক সিগনাল না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া উচিত? যেহেতু রাস্তায় এদের সংখ্যা বেশি এবং বয়সে তরুণ হওয়ার কারণে ট্রাফিক পুলিশ এদেরকে অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে যাচ্ছে। এখন দেখা যাচ্ছে সিগনালে অন্য গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেও মোটরবাইক সিগনাল না মেনেই চলে যাচ্ছে এবং ট্রাফিক পুলিশ বিষয়টা মেনে নিয়েছে, তারা বাধা দিচ্ছে না। এভাবে ছাড় দিতে থাকলে এরা সড়কে বড় ধরনের নৈরাজ্যের সৃষ্টি করবে।
তিনি আরো বলেন, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে অন্তত একটা দিন ক্লাসে ট্রাফিক আইন এবং নৈতিকতা বিষয়ক শিক্ষা দেয়া উচিত। তবে ট্রাফিক সিগনাল মানার বিষয়ে আইনের পাশাপাশি সামাজিকভাবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং দায়িত্ববোধ তৈরি করতে হবে। যখন মানুষ সামাজিকভাবে দেখবে যে ট্রাফিক সিগনাল না মানলে অপমানিত হতে হচ্ছে বা লজ্জিত হতে হচ্ছে তাহলে কেউ আর ট্রাফিক আইন অমান্য করবে না বলে মনে করেন এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :