স্পোর্টস ডেস্ক : জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিলো না কখনো। আগে ব্যাটিং করতেন পাঁচ নম্বরে কিন্তু তিনি চাইছিলেন তিনে ব্যাটিং করতে। তাতে রাজি ছিলো টিম ম্যানেজমেরেন্ট অনেকেই। যার কারণে সবাইকে বুঝাতে হয়েছে তাকে। তিনে ব্যাটিং করে সেটির প্রমাণও দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। যদিও তার ব্যাটিংয়ের প্রমাণ দিতে হয় না কিন্তু নিজে চেয়ে নেওয়া পজিশনের কারণেই প্রমাণ দিতে হলো তাকে।
তিন নম্বরে নেমেই শনিবার কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ বলে ১২১ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব। বিশ্বকাপে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। তিনে খেলেই এবারের বিশ্বকাপে আগের দুই ম্যাচে সাকিব করেছেন ৭৫ ও ৬৪। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী তিনিই।
গত বছর থেকে নিয়মিত খেলছেন তিনে। এই পর্যন্ত যতটুকু খেলেছেন, তার রেকর্ড ঈর্ষণীয়। ৮৩১ রান করেছেন ৫১.৯৩ গড়ে, এই পজিশনে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা গড়। ১৮ ইনিংসে ৮টি হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি এই সেঞ্চুরি, ১২১ রানের ইনিংসটি তিন নম্বরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের।
বিশ্বকাপে তিনে খেলে প্রথম সেঞ্চুরি করার পর সাকিব জানালে এই পজিশনে আসার কথা। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমারই ছিল (তিনের সিদ্ধান্ত)। সবাইকে বোঝাতে হয়েছে, সবাইকে। কারণ একটি ম্যাচে রান না করলেও তারা বলত যে পাঁচ নম্বরেই আমার খেলা ভালো। তিন নম্বরে খেলতে তাই অনেককে রাজি করাতে হয়েছে আমাকে।’
ব্যাট কথা বলতে শুরু হওয়ার পর অবশ্য কথায় আর কাউকে বোঝাতে হচ্ছে না। বরং তিনি উপভোগ করছেন এই নতুন চ্যালেঞ্জে, সেই চ্যালেঞ্জ জয়ের সাফল্য। এখনই সন্তুষ্ট না হয়ে দলে অবদান রাখতে চান আরও বেশি। সাকিব আরো বলেন, ‘এটা একটু আলাদা, ভিন্ন কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তবে আমি এই মূহুর্তে উপভোগ করছি। আমার কাছে মনে হয়েছিল, আমার জন্য আরও বেশি অবদান রাখার সুযোগ এটি। ব্যাটে আরও বেশি অবদান রাখার সুযোগ।’
তার ভাষ্য, ‘তবে বলতেই হবে, এটা কেবলই শুরু। এই টুর্নামেন্টে এবং এরপরও আরও অনেক ম্যাচ আছে। আরও অবদান রেখে যেতে হবে। ব্যাটে-বলে আমি যতটা সম্ভব, আরও বেশি অবদান রাখতে চাই।’
আপনার মতামত লিখুন :