শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০১৯, ০৬:১০ সকাল
আপডেট : ০৯ জুন, ২০১৯, ০৬:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দাফন না সৎকার দ্বন্দে হিম ঘরেই ৫ বছর মৃতের লাশ

মোহাম্মদ মাসুদ : বেওয়ারিশ হিসেবে নয়, পরিচয় নিয়েই মৃত্যুর পর ৫ বছর ধরে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পরে আছে খোকন নন্দী ওরুপে রাজিব চৌধুরী নামে এক ব্যাক্তির লাশ। ওই ব্যাক্তি রাজধানীর একটি বিপনী কেন্দ্রের মালিক ছিলেন।
তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে বলেন, মুসলিম ধর্মের দাবি করে আমাকে বিয়ে করেছিলেন রাজিব। আর এই দাবী অস্বীকার করছেন প্রথম স্ত্রী। তাই মৃতের সৎকার না দাফন হবে এই বির্তকে মর্গে পড়ে আছে লাশ।

মৃত্যুর সাথে জাগতিক সম্পর্কই ছিন্ন করেনা,মানুষকে নিয়ে যায় সকল দেনা-পাওনার উর্ধ্বে। এটাই চিরন্তন সত্য। কিন্তু ঢাকা মেডিকেলের হিম ঘরে বাকস বন্দি খোকন নন্দী ওরফে রাজিব চৌধুরীর বেলায় এ সত্য হয়েছে পুরোপুরি মিথ্যে।
২০১৪ সালের ২৬ জুন বার্ডেম হাসপাতালে মারা যান খোক চৌ ওরঢেফ রাজিব চৌধুরী। তার মরদেহ দাফনের উদ্যেগ নেন, তার দ্বীতিয় স্ত্রী দাবি করা হাবিবা আক্তার কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ান খোকনের প্রথম স্ত্রী মিরা নন্দী। তার দাবি তার স্বামী সনাতন ধর্মের। দাফন না সৎকার দুপক্ষের এ দন্দ গড়ায় আদালতে।

২০১৪ সালের ২৩শে অক্টেম্বর ঢাকার সহকারী জজ আদালত লিটন নন্দী ওরফে রাজিব চৌধুরীর মরদেহটি হিমঘরে সংরক্ষনের নির্দেশ দেন। সেই থেকে এখনও মর্গে তার মরদেহ। দ্বীতিয় পক্ষের স্ত্রী হাবিবার দাবি, ১৯৮৪ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে রাজীর চৌধুরী নাম ধরে তাকে বিয়ে করেন খোকন।

তিনি বলেন, আমার অনেক বয়স হয়েছে। আমি কি দেখে যেতে পারবো, মাটি দিয়ে যেতে পারবো। মৃত্যুর আগে আমাকে বার বার অনুরোধ করে গেছেন। বলেছেন আমি মারা গেলে, আমার ভাইয়েরা আামকে নিতে আসবেনা। ওরা আমাকে ঘৃণা করে।

ঢাকা মিডিকেল মর্গের ইনচার্য সিকান্দার আলী জানান, হাবীবা প্রায় খোকনের মরদেহ দেখতে মর্গে আসেন। তবে এখন পর্যন্ত প্রথম পক্ষের কেউ খোজ খবর নিতে আসেননি।

তবে এ ব্যাপারে প্রথম পক্ষের সন্তান বাবলু নন্দী প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোনো সাক্ষাতকার দেননি।
জীবদ্দশায় খোকন নন্দী তার ক্যাপিটাল মাকের্টের ব্যবসায়ীদের কাছে বিভিন্ন সময় এক মুসলিম নারীকে বিয়ের কথা বলেছেন। তবে ২০১৪ সালে আবাসন কোম্পানি ট্রাফিক্যাল হোমসের সাথে করা এক চুক্তি পত্রে তার নাম খোকন নন্দী হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন।

ট্রপিকাল হোমস লিঃ ডেপুটি ম্যানেজার এম এ কুদ্দস খান বলেন, শুনেছি তিন মুসলমান হয়েছেন এবং এক মুসলিম নারীকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু তার সত্যতার কোনো ডকুমেন্ট আমাদের কাছে নেই।

বর্তমানে মামলাটি নিন্ম আদালতে বিচারাধীন। ফার্মগেটের মতো এলাকায় মার্কেটসহ সম্পত্তির লোভে মৃত্যুর পরেও রেহাই মিলছেনা খোকন নন্দীর রেহাই মিলছেনা মনে করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়–য়া।

ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জাবিয়েছেন, এখন হিম ঘরে রেখেও রক্ষা করা যাচ্ছে না খোকন নন্দীর মরদেহ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়