শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০১৯, ০৩:৫১ রাত
আপডেট : ০৯ জুন, ২০১৯, ০৩:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যশোরে স্কুল ছাত্র হত্যার ঘটনায় পাঁচজন আটক, হত্যার দায় স্বীকার

যশোর প্রতিনিধি: যশোর শহরের রেলস্টেশন এলাকায় স্কুলছাত্র আব্দুল্লাহ খান (১৩) হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এঘটনায় নিহত আব্দুল্লাহর পিতা মুরাদ খান বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছে। আটক আসামিরা হচ্ছে শহরের আশ্রম রোডের শাহিনের ছেলে তাওহিদ, একই এলাকার রাশিদুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল গফ্ফারের ছেলে আশিকুল ইসলাম আশিক, টিবি ক্লিনিক এলাকার সুমনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত শেখ জাহিদ হাসানের ছেলে আকাশ, রেলরোডের রুহুল হাজির বাড়ির ভাড়াটিয়া সেলিম হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা ও চাচড়া রায়পাড়ার বিল্লালের বাড়ির ভাড়াটিয়া রাহাতের ছেলে নয়ন। আটক আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারার দেয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, এলাকার কর্তৃত্ব নিয়ে আসামিদের সাথে রেলস্টেশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র নিহত আব্দুল্লাহ খান আব্দুল্লাহর পূর্ব শক্রতা চলে আসছিল। ৬ জুন হত্যাকাণ্ডের দিন আসামিদের সাথে মোবাইলে নিহত আব্দুল্লাহর তর্কবিতর্ক হয়। ওই সময় আসামিরা এয়ারপোর্ট এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। নিহত আব্দুল্লাহ তার মোবাইল থেকে ২নং আসামি আকাশকে ফোন করে। ফোন করে জানতে চায় তারা কোথায়। আসামিরা এয়ারপোর্ট এলাকায় বসে আব্দুল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনা করে ফিরে আসে। এরপর তারা রেলরোডস্থ আবাসিক হোটেল শাহানজের গলির মাথার সামনে দক্ষিনে আজিজের চায়ের দোকানের সামনে আব্দুল্লাহকে একা পেয়ে আকাশ, মাসুদ, নয়ন, আশিক এলোপাতাড়ি ভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকে। ১ নং আসামি তাওহিদ তার প্যান্টের পকেটে থাকা চাকু বের করে আব্দুল্লার বাম হাটুর উপরে উরুতে কোপ মেরে গুরুত্বর জখম করে। আব্দুল্লাহর উরু থেকে প্রচুর পরিমান রক্ত বের হলে আসামিরা আব্দুল্লাহকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা আব্দুল্লাহকে ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজল মল্লিক রাত পৌনে আটটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কাজল মল্লিক বলেন, তার ডান উরুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। ধারণা করা হচ্ছে- অন্ডকোষ কেটে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে। তবে হাসপাতালে আসার আগেই আব্দুল্লাহ মারা যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আমিরুজ্জামান বলেন চার আসামি আকাশ, মাসুদ, নয়ন, আশিকে ৬ জুন ঘটনার রাতে আটক করা হয় ও প্রধান আসামি তাওহিদকে ৭ জুন আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু। আসামিদের ৮ জুন শনিবার আদালতে হাজির করলে তারা ১৬৪ ধারার জবান বন্দি দেয়। জবান বন্দিতে সকলেই হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, হত্যা কান্ডের পর পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। তবে মৃত আব্দুল্লাহর প্যান্টের ডান পকেট থেকে একটি অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করা হয়। সম্পাদনা: সুতীর্থ বড়াল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়