নুর নাহার : মাত্র এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসি আয় করেছে বাংলাদেশ। এমন বাস্তবতায় আসছে বাজেটে প্রবাসীদের জন্য মিলতে পারে সুখবর। প্রথমবারের মতো রেমিটেন্স পাঠানোর বিপরীতে বরাদ্দ করা হতে পারে আর্থিক প্রনোদনা। তবে বাজেটে খরচ বাড়ানোর এই উদ্যোগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে অর্থনীতিবিদদের কাছে। তারা বলছেন, এমন উদ্যোগে বাজেটে ভর্তকি বাড়বে। আর প্রকৃত সুবিধাভোগিদের কাছে পাঠানো নিয়েও আছে শঙ্কা। নিউজ২৪, ১৪.০০ সংবাদ
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম মাধ্যম রেমিটেন্স। প্রবাসিদের কষ্টে অর্জিত এই অর্থ প্রাণ সঞ্চার করছে জাতীয় অর্থনীতিতে। সবশেষ মাসের প্রবাসি আয়ের নতুন রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। হিসাব বলছে মে মাসে প্রবাসি আয় এসেছে ১৭৫ কোটিরও বেশি। মাসিক হিসেবে এমন অংক কখনো অর্জিত হয়নি এর আগে।
চলতি অর্থ বছরের ১১ মাসে আদায় হয়েছে ১ হাজার ৫০৬ কোটি ডলার। যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় দেড়শ কোটি ডলার বেশি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ।
বাংলাদের ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুর্শিদ কুলি খান বলেন, যে বছর রেমিটেন্স খারাপ হয় সে বছর বাংলাদেশের জিডিপি কমে যায়। এটি এখন ফর্মাল লেভেলে আসছে।
ঢাকা কার্যালয় বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এ বছর প্রায় ভালই আয় বেড়েছে। আমরা এক ঐতিহাসিক উচ্চতায় রয়েছি। অর্থবছর ২০১৫ তে ১৫.৩ বিলিয়ন ডলার ছিলো সর্বোচ্চ আয়। ১১ মাসে ১৫.৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।
আসছে বাজেটে প্রবাসিদের পাঠানো অর্থের বিপরীতে ৩ শতাংশ পর্যন্ত ভূর্তকি দেয়ার চিন্তা করছে সরকার।
জাহিদ হোসেনের মতে, বৈধ পথে রেমিটেন্স আনতে যে চিন্তা করছে সরকার তার সুফল প্রকৃত সুবিধাভোগিরা পাবেন কিনা সে নিয়ে আছে শঙ্কা। আসলে এটি সর্বোতম পন্থা নয়। সম্পাদনা- কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :