হ্যাপি আক্তার : আসছে (২০১৯-২০) বাজেটে ১০ মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থের সংকট হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। অর্থের অপচয় রোধে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করাই বড় চ্যালেঞ্জ, বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন সফলতার অন্যতম নিদর্শন বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নের এই সেতু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা সবার।
রাজধানীর যানজট নিরসনে দ্রুত এগিয়ে চলছে মেট্রোরেল প্রকল্প। প্রথম অংশের কাজ এ বছরের মধ্যেই শেখ করার লক্ষ্য। মহেশখালীতে তৈরি হয়েছে এলএনজি টার্মিনাল। এই প্রকল্পের কাজও শেষের দিকে।
আসছে (২০১৯-২০) অর্থবছরের বাজেটে রূপপুর পারমাণবিক এবং মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ১০ মেগা প্রকল্পকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আগামী বাজেটে এসব প্রকল্পে থাকছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ফাস্ট্রেক প্রকল্প, কোনো প্রকল্পই অর্থের অভাবে ভুগবে না, ব্যবস্থাপনার জন্য ভোগে। অথবা অর্থের মধ্যে বিদেশি একটা অংশ থাকে সেখানে যদি কোনো ধরনের কোনো সমস্যা থাকে তাহলে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। তবে বাস্তবায়ন ত্রুটি নিরসনে নজর দিতে হবে।
বিআইডিএস’র মহাপরিচালক কে এস মুরশিদ বলেন, এই প্রকল্প শেষ করতে যদি বেশি সময় লেগে যায় তাহলে এর যে খরচ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।
জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দুই অঙ্কে নিতে এসব মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের পাশপাশি মান নিশ্চিত করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
আপনার মতামত লিখুন :