শিরোনাম
◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০১৯, ০৪:০৬ সকাল
আপডেট : ০৮ জুন, ২০১৯, ০৪:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আটকের খবর সঠিক নয় দাবি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের, ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন পাইলট ফজল মাহমুদ

মঈন মোশাররফ : কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাসপোর্ট না থাকার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট আটক হওয়ার যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, দোহায় তাদের কোনো পাইলট আটক, গ্রেপ্তার বা আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। রেডিও তেহরান

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৫ জুন বিমানের ঢাকা-চট্টগ্রাম- দোহা রুটে বিজি ১২৫ ফ্লাইটের অপারেটিং ক্যাপ্টেন হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। দোহায় অবতরণের পর তিনি লক্ষ্য করেন, তার পাসপোর্ট সঙ্গে নেই। এমন অবস্থায় তিনি ইমিগ্রেশনে না গিয়ে দোহা বিমানবন্দরে বিমানের স্টেশন ম্যানেজার ও ঢাকা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্টের আগে ট্রানজিট হোটেল অরিক্সে চলে যান। গত ৬ জুন সন্ধ্যায় ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট দোহায় পাঠানো হয় এবং তিনি স্বাভাবিক নিয়মে কোনো জটিলতা ছাড়াই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দোহা নগরীতে বিমানের ক্রুদের নির্ধারিত হোটেল ক্রাউন প্লাজায় উঠেন। বর্তমানে তিনি হোটেলে অবস্থান করছেন এবং বিমান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ জুন ভোরে দোহা থেকে বিজি ১২৬ ফ্লাইট পরিচালনা করে ঢাকায় আসবেন।

এদিকে, পাসপোর্ট না নিয়েই ফ্লাইটে করে দেশ ছাড়ার ঘটনাকে নিজের ভুল হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হিউম্যান বিয়িং মানেই কিছু ভুল, সে হিসেবে আমার ভুল হয়েছে। আমি ক্ষমা চাই।

নিজের ভুলের সঙ্গে সেদিন ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাও ভুল করেছেন বলে মনে করছেন বিমানের এই পাইলট। তিনি বলেন, আমার ভুল তো ছিলোই, তারও (দায়িত্বরত কর্মকর্তা) ভুল হয়েছে। তিনি যদি পাসপোর্ট দেখতে চাইতেন, তাহলে আমার ভুলটা তখনই ধরা পরতো। আমি বলবো, দু’জনের ভুল মিলিয়েই এ ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, ৫ জুন তিনি যে ফ্লাইট চালিয়ে নিয়ে গেছেন, সেই ফ্লাইটের অনেক কেবিন ক্রুর পাসপোর্টও সেদিন দেখতে চাওয়া হয়নি।

পাসপোর্টের গুরুত্ব বুঝেও কেন তা সঙ্গে নেয়ার কথা ভুলে গেলেন-জানতে চাইলে ফজল মাহমুদ বলেন, আমার পাসপোর্টসহ অন্যান্য দরকারি জিনিস আমার একটি ব্যাগে থাকে। সেদিন সেই ব্যাগ নিয়ে ব্যাংকে যাই, প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আবার অফিসে (বিমান বাংলাদেশের অফিস) আসি। তারপর ব্যাগটি সেখানে রেখেই বাসায় চলে আসি। পরে ভুল করে আর পাসপোর্টটি নিয়ে আসা হয়নি। ফ্লাইট থেকে নামার পর যখনই বুঝতে পারলাম পাসপোর্ট নেই, সঙ্গে সঙ্গে আমি ঢাকায় যোগাযোগ করি। পাসপোর্ট সঙ্গে না থাকায় এয়ারপোর্টের ভেতরে ট্রানজিট এলাকার হোটেলে থেকেছি ঢাকা থেকে পাসপোর্ট আসা পর্যন্ত। দেশ থেকে পাসপোর্ট আসার পরই আমি ক্রাউন প্লাজা হোটেলে উঠেছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়