শিরোনাম
◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০১৯, ০১:১২ রাত
আপডেট : ০৮ জুন, ২০১৯, ০১:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন

মঈন মোশাররফ : বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়া এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় প্রতিবন্ধকতা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়। এ ছাড়া, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। রেডিও তেহরান

বুধবার (৫ জুন) প্রকাশিত ‘মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিবেদন ২০১৮’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০১৮ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও গণতন্ত্রের সুরক্ষা দুর্বল হয়েছে। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ ও সহিংসতার বিষয়টি নজরে এসেছে ব্রিটিশ সরকারের। এসব অভিযোগকে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ বলে মনে করেন তারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ব্রিটেন এ বিষয়ে স্পষ্ট ও অনড় যে, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপ‚র্ণ নির্বাচন দেখতে চাই । যা একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট এই বার্তা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পোঁছে দেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। সীমিত হয়েছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন জানান, ‘আমাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সুরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে চাপে রাখার অভিযোগগুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

প্রতিবেদনে বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ সময় বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকাণ্ড ও জোরপ‚র্বক ‘গুম’-এর ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘দায়মুক্তি’ পাওয়ার অভিযোগ সমর্থন করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবরে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পর বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি নজরে রেখেছে ব্রিটিশ সরকার। ২০১৮ সালে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার-এর বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১৪৬তম। ২০১৭ সালেও একই অবস্থানে ছিলো বাংলাদেশ। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ৫৪ জন সাংবাদিককে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তবে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। আগের চেয়ে কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরের অবস্থার উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়