শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০১৯, ১২:৪৭ দুপুর
আপডেট : ০৮ জুন, ২০১৯, ১২:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদের রাতে ভেঙে ফেলা হল পুরান ঢাকার ‘জাহাজ বাড়ি’

মৌরী সিদ্দিকা : ঈদের রাতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল প্রত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই ভবন।
পুলিশ পুরান ঢাকার ‘জাহাজ বাড়ি’ ভাঙা বন্ধের দাবি করলেও কার্যত ঐতিহ্যবাহী ভবনটির বেশিরভাগ অংশই ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিডি নিউজ

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিমের লোকজন ঈদের দিন বুধবার রাতে হঠাৎ চকবাজারের এই ভবন ভাঙে বলে সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানান। তবে এ বিষয়ে হাজী সেলিমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আফতাব উদ্দিন নামে তাদের একজন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই ভবন ভাঙা শুরু করে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের লোকজন।’

ভবন ভাঙার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তা বন্ধ করে দেয় বলে চকবাজার থানার ওসি শামীম আল রশীদ জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি অনেক পুরানো ঐতিহ্যবাহী দোতলা এই ভবনটি হাজী সেলিম কিনে নিয়েছেন।

‘তিনি এটি ভেঙে নতুন কিছু করবেন হয়ত। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ায় ভাঙার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।’

আরবান স্টাডি গ্রুপের ভাষ্য মতে, পুরান ঢাকার চকবাজারের এই ভবনই দেশের প্রথম বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে বিবেচিত হত। পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার ইব্রাহীম খান জানান, এই ভবনটি প্রত্নতাত্ত্ব অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার তালিকায় রয়েছে। তাছাড়া এ বিষয়ে একটা জিডি করা আছে।

ওই এলাকায় পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ইব্রাহীম একথা বললেও বাস্তবে ভবনটির দুই পাশে যে পরিমাণ ভাঙা হয়েছে, তাতে ভবনটি তার চেহারা হারিয়েছে।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকার হেরিটেজ সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করে আসা সংগঠন আরবান স্টাডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী তাইমুর ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘রাতে সবাই যখন ঈদের আনন্দ করছে তখন প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত বুলডোজারের সাহায্যে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল চকবাজারের জাহাজ বাড়ি।’

এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার চকবাজার থানায় একটি জিডি করেছেন বলে জানান তিনি।
আরবান স্টাডি গ্রুপের পক্ষ থেকে করা এক রিট আবেদনে হাই কোর্ট ২০১৭ সালে পুরান ঢাকার ২২০০ ঐতিহ্যবাহী ভবন ও স্থাপনার ধ্বংস, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

ভবনটির দুই পাশেই ভেঙে ফেলা হয়েছে তাইমুর বলেন, ‘হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শতবর্ষী এই ঐতিহ্যবাহী ভবনটি গত মার্চ মাস থেকে ভাঙার চেষ্টা চলছিল। তখন জিডি করে থানার সাহায্যে বন্ধ করা হয়। এবার এমন একটা সময়ে এমনভাবে করা হল যেন বাধা দেওয়ার কোনো সুােিযাগ না থাকে।’

তিনি জানান, গত সাত-আট মাসে আরবান স্টাডি গ্রুপের সদস্য ও স্বেচ্ছেসেবকদের প্রচেষ্টায় কিছু ভবন ভাঙার চেষ্টা ঠেকানো গেলেও ইতোমধ্যে পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ভবন ভাঙা হয়েছে।

ওই ভবনের বিভিন্ন দোকানের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভবনটি ওয়াকফ স্টেট হিসেবে ছিল। তারা নিয়মিত ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রতিনিধিকে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। ‘হক সাহেব’ নামে পরিচিত ওয়াকফের ওই প্রতিনিধি ওমরা করতে সৌদি আরব গেছেন বলে ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন জানান। এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য সাংসদ হাজী সেলিমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। তার ছেলের মোবাইলে ফোন করলে তিনি ধরেননি। এসএমএস পাঠিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়