বাংলা ট্রিবিউন থেকে: পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে আটকে দিয়েছে কাতার ইমিগ্রেশন। বুধবার (৫ মে) রাতে দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে আটকে দেওয়া হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তারা জানান, বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে যান ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তাকে ফিরিয়ে আনতে দেশ থেকে তার পাসপোর্ট কাতারে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন বিমান কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন জামিল আহমেদকে টেলিফোনে পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের হেফাজতে রয়েছেন। তার পাসপোর্ট বাংলাদেশ থেকে পাঠানোর চেষ্ট চলছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাসপোর্ট ছাড়া কীভাবে পাইলট গেলেন, এ বিষয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও ইমিগ্রেশন পুলিশের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মুহিবুল হক বলেন, ‘পাইলট ভুলে পাসপোর্ট ছাড়া গিয়েছেন। পাসপোর্ট ছাড়া তিনি কী করে ইমিগ্রেশন পার হলেন, এটা তদন্ত করে দেখা হবে। আর তার পাসপোর্ট কাতারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পাইলটদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কিছু নিয়ম আছে। বিমানের পাইলট পাসপোর্ট ছাড়া গিয়েছিলেন। বিমান তাকে ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, পাইলটরা বিমান নিয়ে বিশ্বের নানা বিমানবন্দরে গেলেও অনেক সময় সেসব দেশের অভ্যন্তরে তাদের প্রবেশ করতে হয় না। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুসারে, পাইলটরা জেনারেল ডিক্লেয়ারেশনের কপি সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ করেন। জেনারেল ডিক্লেয়ারেশনের কপি ছাড়াও পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হয় পাইলটদের।
আপনার মতামত লিখুন :