নুর নাহার : প্রতিদিনই বিষ মিশছে সুন্দরবনের খাল নদীতে। মাছ ধরতে এক শ্রেণির অপরাধী ব্যবহার করছে বিষ। বনের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে চলছে ভয়ংকর এই ধ্বংসযোগ্য। বিষ দিয়ে মাছ শিকার দন্ডণীয় অপরাধ। কিন্তু অবৈধ এই কারবার ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে সংশ্লিষ্টরা। যমুনা টিভি
সুন্দরবনের ছোট খাল থেকে বিষ দিয়ে ধরা হয় চিংড়ি। খালের মাথায় বিষ ঢেলে চলছে মাছ ধরার এই বিষাক্ত প্রক্রিয়া। খালের বড় মাছগুলো ধরার জন্য দেয়া হয় অন্য ধরনের বিষ। পাতানো জালে আটকা পড়ে সাদা মাছ। এখন থেকে শুরু করে বর্ষার শেষ মাস পর্যন্ত চলবে এই অপকর্ম।
মাছ শিকারকারীরা বলেন, চিংড়ি মাছসহ পাতারি ও টেংরা সবই মারা পড়ছে বিষে। এখানে ডেনটন নামের এক মেডিসিন দেয়া হয়। এটি বোতলে থাকে। এর দাম ১০০ গ্রাম ১২০ টাকা। একটি খালে ৭-৮টি ডেনটন দিলেই হয়।
জেলেরা জানায়, মেডিসিন পানিতে ঠেলে হাত দিয়ে গুলিয়ে দেয়ার পর যখন পানি আগের মতো হয়ে যায় তখন সব মাছ ভেসে এঠে। তারা জানায়, বিষ ছাড়া মাছ পাওয়া যায় না। সুন্দরবনের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত চলতে থাকে এই অপকর্ম। বছর জুরে সুন্দরবনের খাল নদীতে বিষ ছড়িয়ে প্রাণী বৈচিত্র্য ধ্বংস করছে কিছু জেলে। আর এদের মদদ দিচ্ছে অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা। মাছ শিকারীরা বলেন , সুন্দরবনের প্রাণী বৈচিত্রের জন্য এই মুহুর্তের সব চেয়ে বড় ঝুঁকি বিষ দিয়ে মাছ শিকার।
স্থানীরা জেনে শুনে এই অপকর্ম করছে। পরিবেশ ধ্বংস করে মাছ ধরে সেই মাছ নিয়ে লোকালয়ে বিক্রি করছে কোনো রকমের বাধা ছাড়াই।
খুলনা বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, বিষ দিয়ে মাছ শিকারকারীদের তালিকা করেছে বন বিভাগ। তাদের সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। না হলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: এইচ এম জামাল
আপনার মতামত লিখুন :