সান্দ্রা নন্দিনী : ৩০ বছর আগে সুপারস্টার হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিনয়শিল্পী অঞ্জু ঘোষ বুধবার ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি’তে যোগদান করেন। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি প্রধান দিলীপ ঘোষ তাকে বরণ করে দলীয় পতাকা হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া ব্লকবাস্টার হিট চলচ্চিত্র ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎসা’র মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই অপরিসীম জনপ্রিয়তা পান তিনি। পরবর্তীতে, ১৯৯১ সালে পশ্চিমবঙ্গে পুনর্নির্মিত হলে মেগা হিট হয় সিনেমাটি। এনডিটিভি
বর্তমানে ৫৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন। তার কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড রয়েছে এবং তিনি সাধারণ নির্বাচনে ভোটও দিয়েছেন। অঞ্জু ঘোষের ভারতীয় পাসপোর্টটি ২০১৮ সালে ইস্যুকৃত এবং ভোটার কার্ডে ইস্যু হওয়ার তারিখের জায়গায়, জানুয়ারি ১, ২০০২ উল্লেখিত রয়েছে।
এদিকে, অঞ্জু ঘোষের বিজেপি’তে যোগ দেওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ঝড় উঠেছে বিরোধী তৃণমূল শিবিরে। তার নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়, একজন ‘বাংলাদেশি নাগরিক’ কীকরে একটি ভারতীয় রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারেন? এছাড়া, তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়, এর আগে লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশি দুই শিল্পীর তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় যোগ দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি। এর প্রেক্ষিতে, ওই দুই অভিনয়শিল্পীকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের দীপ্তাংশু চৌধুরী এই টুইট-বার্তায় লেখেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি খুব শিগগিরই “বাংলাদেশি জনতা পার্টি”তে রূপান্তরিত হতে চলেছে। এটি তো দারুণ ব্যাপার, বাংলাদেশি অভিনেতা বিজেপি’তে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি এখন সত্যিকারের আন্তর্জাতিক দল!’
যদিও বিজেপি’র পক্ষ থেকে সকল সমালোচনা নাকচ করে দিয়ে অঞ্জু ঘোষের কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট থাকার বিষয়টিকে সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। সূত্রমতে, অঞ্জু ঘোষকে দলে নেওয়ার আগে অমিত শাহ নেতৃত্বাধীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে তার নাগরিকত্ব বিষয়ক যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :