এইচ এম জামাল: ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ দিলেও ছুটি শুরু দুদিনের মাথায় অধিকাংশ ব্যাংকের বুথে গিয়ে টাকা তুলতে পারেননি গ্রাহকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকরা। বালাদেশ জার্নাল
এক ব্যাংকের কার্ড নিয়ে অন্য ব্যাংকের বুথে গিয়েও মেশিন থেকে টাকা বের করতে পারেননি গ্রাহকরা। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকেই। মো. রফিকুল ইসলাম রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ছেলে ঈদের দিন বিকেলে ওষুধ কেনার জন্য টাকা তুলতে হাসপাতালের পাশে একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথে গিয়ে ফেরত আসেন। কাছে নগদ টাকা না থাকায় এক বন্ধুর কাছ থেকে বিকাশে টাকা এনে ওষুধ কিনেছেন।
এটিএম বুথে টাকার সংকট তৈরি হয়েছে ঈদের দিন বিকেল থেকেই। বেশ কয়েকজন গ্রাহক এটিএম বুথে টাকা না থাকার বিষয়টি জানান। বৃহস্পতিবার সকালে গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার কয়েকটি এটিএম বুথে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে টাকা আছে কিনা জানতে চাইলে কার্ড দিয়ে চেক করতে বলেন।
বনানীতে এনসিসি ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী জানান ঈদের দিন বিকেল থেকে এই বুথে টাকা শেষ হয়ে গেছে। এদিকে ঈদের ছুটি বৃহস্পতিবার শেষ হলেও গ্রাহকদের এটিএম বুথে টাকার সংকট কাটতে আরও দু’দিন লাগবে। ঈদের ছুটির পরেই শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির কারণে ব্যাংকগুলো এটিএম বুথে কোনো টাকা দিতে পারবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৩১ মে দিনগত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বাড্ডার একটি এটিএম বুথ থেকে জালিয়াত চক্র টাকা তুলে নেয়ার পর ব্যাংকগুলোর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ কারণে ঈদের ছুটির সময় এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিলেও অধিকাংশ ব্যাংকের বুথে পর্যাপ্ত টাকা থাকছেনা। ওই ঘটনার পর অঘোষিতভাবেই ওই সময় থেকে বন্ধ রয়েছে ডাচবাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা।
আপনার মতামত লিখুন :