শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৬ জুন, ২০১৯, ০২:৫০ রাত
আপডেট : ০৬ জুন, ২০১৯, ০২:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদে ফাঁকা ঢাকা : গণপরিবহন সংকটে ভোগান্তি নগরবাসীর

স্বপ্না চক্রবর্তী : তুমুল বৃষ্টিতে নগরবাসী যখন ঈদের আনন্দ মাটি বলে ঘরের চারদেয়ালে বন্দি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন তখনই সূর্য্যি মামা উঁকি দেয় পশ্চিম আকাশে। বিকাল ৩ টার পরে বৃষ্টির দাপট কমতেই নতুন উদ্যমে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে রাজপথে নামে নগরবাসী। কারও আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত কারও বা বন্ধুদের সাথে আড্ডার প্ল্যান। কিন্তু গণপরিবহন সংকটে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়াটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। সুযোগ পেয়ে রিক্সা চালকরাও আদায় করে ইচ্ছামতো ভাড়া। এতে করে অতিরিক্ত টাকা গচ্চা দিয়ে ঈদের আনন্দ কিছুটা হলেও ম্লান হয় সাধারণের।

বুধবার বিকালে রাজধানীর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে গণপরিবহনের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। ফার্মগেট, সংসদ ভবন, আসাদ গেট, শ্যামলী, ধানমন্ডি, মহাখালী, বনানী, বিশ্বরোডের মোড় ও মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় গণপরিবহন না পেয়ে রিক্সায় চেপে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন যাত্রীরা।

মগবাজার থেকে খিলগাঁও গোড়ান পর্যন্ত ১৮০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে তাই মেজাজ খারাপ করেই আনিসুর রহমান বলেন, পাবলিক বাস তো নাই। তাই বাধ্য হয়ে রিক্সায় উঠেছি। রিক্সাওয়ালা ভাড়া ঠিক করার সুযোগ না দিয়ে বলে ঈদের দিন ভাড়া ঠিক করার দরকার নাই। কিন্তু নামার পর নিয়মিত ভাড়া ৮০ টাকা দেওয়ার পর সে তো মানলই না আরও ১০০টাকা দাবি করে বসলো। এ যেনো দিনে দুপুরে ডাকাতি। একই কথা বলেন ফার্মগেট বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষারত ডিপিডিসির কর্মর্কতা মো. শাহ আলম।

তিনি বলেন, আমি মিরপুর যাবো। আধা ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করে কোনো বাস না পেয়ে একটি সিএনজি রিক্সা নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু ভাড়া চাচ্ছে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০টাকা। ২০ টাকার জায়গায় সাড়ে ৪০০ভাড়া দেওয়াটা কিভাবে সম্ভব?

মহাখালীর বাসস্ট্যান্ডে গণপরিবহন শূন্য দেখা যায়। বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত বেসরকারি প্রষ্ঠানের কর্মচারী মো. খলিল উদ্দিন বলেন, আমি ঈদে ছুটি পাইনি। তাই আজকে বাড়ি যাচ্ছি। সদরঘাট যাবো।কিন্তু কোনো বাস পাচ্ছি না। ২০ মিনিট ধরে এখানে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। বিকল্প পরিবহনের একটি বাসের চালক মো. রিয়াজ বলেন, আজকে আমাদের বাস চলছে ৮ থেকে ৯ টি। আমি সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাত্র ৩ ট্রিপ মারছি। অন্যান্য সময় এই রুটে আমাদের কোম্পানির ৩৫টি বাস চলে। বৃষ্টি, ঈদের ছুটি, রাস্তায় যাত্রী কম থাকার কারণে বাস কম চলছে। অন্য বাসগুলো ঢাকার বাইরে ট্রিপ মারতে গেছে। ৯ তারিখ থেকে বাস রাস্তায় স্বাভাবিক হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়