নুর নাহার : ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনীতিতে বেড়েছে টাকার প্রবাহ। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো বলছে, এক মাসে ঈদকেন্দ্রিক লেনদেন হয়েছে দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি। প্রতিবছর এই পরিমাণ ১৫ ভাগ হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছে দোকান মালিক সমিতি। নিত্যপণ্য, পোশাক, বিনোদন ও পরিবহন খাতে ব্যয় হচ্ছে এই অর্থ। ইনডিপেনডেন্ট টিভি
ঈদ-উল-ফিতর মানেই নতুন জামা। শুধু ছোটদের নয়, পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য কেনা হয় নতুন পোশাক। তাই ঈদ অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে পোশাকের বাজার। এ সময় পোশাকের বেচাকেনা তিন থেকে চারগুণ বেড়ে যায়। এবারের ঈদে পোশাক বিক্রির পরিমাণ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে নানা ভোগান্তি উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরেন সবাই। তাই ঈদে বাস, ট্রেন, লঞ্চ এমনকি আকাশ পথেও সৃষ্টি হয় বাড়তি চাপ। ঈদে পরিবহনে ভাড়া বাড়ায় লেনদেন হয় অতিরিক্ত অর্থ।
সারা বছর কর্মব্যস্ততার মাঝে ঈদের ছুটিতে আপন জনকে নিয়ে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে যান বিনোদনপ্রেমীরা। ফলে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে কয়েক গুণ বেড়ে যায় ভ্রমণকারীর সংখ্যা। তাই পরিপূর্ণ থাকে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল। যা ঈদে অর্থনীতিতে যোগ করে বাড়তি মাত্রা।
ঢাবি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা বলেন, এদিকে ঈদে সব ধরনের নিত্যপণ্যের চাহিদাও বেড়ে যায়। বিশেষ করে ছোলা, ভোজ্য তেল, চিনি, ডাল, সেমাই ও খেজুরের চাহিদা বাড়ে। ব্যাংকগুলোতে অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি লেনদেন হয়। বাড়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ। জাকাত ও ফিতরা বাবদ খরচ হয় প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া অর্থনীতিতে যোগ হয় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন, বোনাস।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, এবার বিশ্বকাপ ক্রিকেট এই ঈদ অর্থনীতিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। টিভি ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দোকানগুলোতেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনীতিতে বেড়েছে টাকার প্রবাহ। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো বলছে, এক মাসে ঈদকেন্দ্রিক লেনদেন হয়েছে দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি। প্রতিবছর এই পরিমান ১৫ ভাগ হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছে দোকান মালিক সমিতি। নিত্যপণ্য, পোশাক, বিনোদন ও পরিবহন খাতে ব্যয় হচ্ছে এই অর্থ। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :