রাশিদ রিয়াজ : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর ইমামতিতে তেহরানে আজকের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর সর্ববৃহৎ ঈদগাহ ‘ইমাম খোমেনী (রহ.) মুসাল্লা’-তে ঈদের জামাতে লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।
এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, সংসদ স্পিকার আলী লারিজানি এবং বিচার বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম রায়িসিসহ দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকতারাও উপস্থিত ছিলেন। সর্বোচ্চ নেতা ঈদের নামাজের প্রথম খুতবায় বিশ্বের সব মুসলমানকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান এবং সবার কল্যাণ কামনা করেন।
তিনি পবিত্র মাহে রমজান সম্পর্কে বলেন, রহমত ও বরকতের মাস রমজান মানুষের হৃদয়-মনকে পবিত্র করার এবং ঈমানকে শক্তিশালী করার সুযোগ এনে দেয়। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবসের মিছিলে সারাদেশে কোটি মানুষের উপস্থিতির প্রশংসা করেন এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি শত্রুদের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। এ সময় তিনি ইরানের ঐতিহাসিক ১৫ খোরদাদের ঘটনা তুলে ধরেন এবং সেদিনের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নামাজের দ্বিতীয় খুতবায় বলেন, মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হচ্ছে ফিলিস্তিন ইস্যু। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে বাহরাইনে যে সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডিল অব সেঞ্চুরি’র বাস্তবায়ন। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এই ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। তিনি আরো বলেন, বাহরাইন সম্মেলনটি মার্কিনীদের। কিন্তু নিজেদের অযোগ্যতা ও অক্ষমতার কারণে বাহরাইনের শাসকরা এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের ক্ষেত্র সৃষ্টিকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
তিনি ডিল অব সেঞ্চুরি-কে গোটা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, যেসব দেশ এবং ফিলিস্তিনের যেসব সংগঠন এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আশা করছি বাহরাইন ও সৌদি আরবের শাসক গোষ্ঠী এটা বুঝতে সক্ষম হবেন যে, তারা খাদে পা দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :