রাশিদ রিয়াজ : আবহাওয়ায় বিভাগের আভাস ছিল, তাই ঘটেছে।পূর্বাভাস অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেলে ঈদের সকালেই। এমনিতে এবার ঈদের প্রস্তুতি হোঁচট খায় চাঁদ দেখা কমিটির অকালপরিপক্ক সিদ্ধান্তে। সারা দুনিয়ায় ঈদের চাঁদ উঠে যাওয়ার পরও মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজ পড়ে মুসল্লিরা বুঝতে পারছিলেন না তারাবি শুরু করবেন কি ন। এরমধ্যে রীতিমত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কমিটি ঘোষণা করে কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত তারাবি পড়ে মুসল্লিরা যখন ঘরে ফিরলেন আর নারীরা ঈদের রান্নার প্রস্তুতি আপাতত বিরতি দিয়ে যখন সেহরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন কমিটি চাঁদ দেখার খবর পেল। আর ঈদের সকালেই আকাশ ছিল সারাদেশে মেঘলা। কোথাও হালকা থেকে মাঝারি এমনকি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাই বলে ঈদের জামাত যেখানে যেমন অবস্থায় সময় রদবদল করেই পড়তে হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে অনেকে রাতে সেহরি খেয়ে সকালে উঠে দেখেন ঈদ শুরু হয়ে গেছে। তাই তাদেরও ইফতারি (!) সকালে করেই যেতে হয়েছে ঈদগাহে।
ঢাকায় যেমন ঈদের সকালটি ভেসেছে বৃষ্টিতে, তেমনি দেশের বিভিন্ন স্থানেও। ঈদুল ফিতরের দিন বুধবার ভোরে সূর্যের দেখা পেয়েছিলেন তারপর আর কোনো খোঁজ নেই। এরপর টিপটিপ বষ্টি যখন শুরু হয় তখন মুসল্লিরা ঈদগাহে ঢুকে গেছেন কিংবা নামাজরত। অধিকাংশ ঈদ জামাত শুরু হওয়ার আগে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় নামাজে অংশ নিতে যারা ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন, তাদের বেশিরভাগকে ভিজতে হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহে ত্রিপল থাকায় নামাজে সমস্যা হয়নি। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত তবে এতে অংশ নিতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অনেককে।
আপনার মতামত লিখুন :