ডেস্ক রিপোর্ট : ফেসবুক নিয়ে ইদানিং সমালোচনার শেষ নেই৷ আজ ‘তথ্য চুরি’ তো কাল ‘ভুয়া খবর’ ছড়ানোর দায়৷ ফেসবুকের যেন দোষের শেষ নেই৷ অথচ এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিন্তু অনেক ইতিবাচক কাজও করে যাচ্ছে৷ যেমন, রক্তদান সহজ করা৷
বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে ২০১৮ সালে ‘ব্লাড ডোনেশনস হাব’ তৈরি করে দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাইটটি৷ ফলে এখন জরুরি প্রয়োজনে রক্ত পাওয়া অতীতের চেয়ে অনেক সহজ হয়ে গেছে৷ এখন যাঁরা ফেসবুকে রক্ত দিতে আগ্রহের কথা জানাচ্ছেন, তাঁরা কারো রক্তের প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে পারেন৷ বলাবাহুল্য, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের কয়েক মিলিয়ন মানুষ রক্তদানে ফেসবুকের মাধ্যমে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন৷
রক্তদানের মতো অন্যান্য মানবিক বিষয়ে ফেসবুকের ব্যবহার বাড়ানো গেলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির গ্রহণযোগ্যতা সাধারণ মানুষের মধ্যে আরো বাড়িয়ে দেবে৷ প্রশ্ন হচ্ছে, মার্ক জাকারবার্গ কি সেদিকে গুরুত্ব দেবেন? ব্যবসা হয়ত তাতে একটু কম হবে, তবে মানবজাতির উপকার হবে অনেক৷
মানুষের সঙ্গে মানুষের মধ্যে অনলাইনভিত্তিক যোগাযোগে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়ে দেয়া এই সামাজিক যোগাযোগ সাইট এখন একটু বেকায়দায় আছে বলা যায়৷ কিছুদিন পরপরই শোনা যায়, ফেসবুক থেকে কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি গেছে৷ ফেসবুক দ্রুত সে-কথা স্বীকার করে নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেয় ভবিষ্যতে এমন আর হবে না৷ সেসব চুরি করা তথ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে কার কতটা লাভ হয়, সেটা নিয়ে যদিও বিতর্ক রয়েছে, তবে এটা সত্যি যে, নিজের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হোক এমনটা কেউই চায় না৷
তথ্য চুরির পাশাপাশি ফেসবুকের বিরুদ্ধে আরেক বড় অভিযোগ হচ্ছে ‘ভুয়া খবর’ ছড়ানো৷ এক্ষেত্রে জাকারবার্গের কৃপণ মানসিকতাকে কিছুটা দোষ দেয়া যেতেই পারে৷ তিনি ফেসবুক নিয়ন্ত্রণে মানুষের বদলে যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা দেখিয়েছেন বেশি৷ ফলে দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো চক্র যন্ত্রকে বিভ্রান্ত করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে যাচ্ছে৷ আবার এটাও ঠিক, ফেসবুকের পরিধি এতই বেড়ে গেছে যে, মানুষ দিয়ে সেটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে অনেক নতুন মডারেটর নিয়োগ করতে হবে৷ নানা দেশে চাপে পড়ে জাকারবার্গ সেটা করছেনও, তবে খুব ধীরগতিতে৷ ডয়চে ভেলে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :