ডেস্ক রিপোর্ট : বার্ষিক প্রথা পালন করতে নৃশংসভাবে মারা হলো কয়েকশো তিমিকে। তিমির রক্তে টকটকে লাল সমুদ্রও। ডেনমার্কের এই ছবি মানুষের মনে গভীরভাবে দাগ কেটেছে। উঠেছে নিন্দার ঝড়।
ডেনমর্কের ফারো দ্বীপপুঞ্জ। ২৯ মে বার্ষিক প্রথা মেনে তোরশাভন সমুদ্রসৈকতে মারা হয় ১৪৫টি পাইলট তিমিমাছ ও সাতটি ডলফিন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। তবে মেট্রো ইউকে-র রিপোর্ট বলছে, এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই গরমের সময় প্রত্যন্ত দ্বীপের সৈকতে প্রায় ৮০০ পাইলট তিমিকে হত্যা করা হয়। আগামী দিনের তীব্র শীতের আগে এই প্রথা পালন করেন স্থানীয়রা।
সরকারি মুখপাত্রের দাবি, বাইরের লোকেদের কাছে এটি অদ্ভুত লাগলেও, ফারো দ্বীপপুঞ্জের জাতীয় ডায়েটের অত্যন্ত মূল্যবান তিমির মাংস। বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, 'প্রতিটি তিমি থেকে গোটা সম্প্রদায় কয়েকশো কেজি মাংস পায়। না হলে সেই মাংস বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আন্তর্জাতিকভাবে ফারো দ্বীপপুঞ্জে পাইলট তিমি শিকার স্বীকৃত।'
তবে জাপান ও ফারো দ্বীপপুঞ্জে ডলফিন ও তিমি শিকারকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে ব্লু প্ল্যানেট সোসাইটির অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন ২,৭৬,২০০-রও বেশি মানুষ। এই সময়। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :