মোহাম্মদ মাসুদ : দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আমাদের মাঝে উঁকি দিচ্ছে ঈদ। ‘ঈদ’ আরবি শব্দ, অর্থ আনন্দ, খুশি। মূল শব্দ হচ্ছে আইন-ওয়াও-দাল।অর্থাৎ বারবার ফিরে আসা। মুসলমানদের মাঝে এ আনন্দোৎসব বারবার ফিরে আসে বলে নামকরণ করা হয়েছে-ঈদ। দীর্ঘ এক মাস মরুভ‚মিতে ক্লান্তিকর ভ্রমণের পর ‘আবে জমজম’ যেন রোযাদারের ঈদ। জাহেলিয়্যাতের অপসংস্কৃতির পরিবর্তে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইসলামী শরীয়তে আনন্দোৎসবের জন্য বাৎসরিক দুই ঈদ নির্ধারণ করেন (আবু দাউদ শরীফ)। চ্যানেল আই
ঈদুল ফিতরের দিনে যোহরের ওয়াক্ত হবার পূর্বে, জামাতে ৬ তাকবিরের সহিত ২ রাকাত নামাজ আদায় করা ওয়াজিব এবং কিছু সুন্নত রয়েছে। যেগুলো জানা আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করা, নামাজের পূর্বে গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা,
পবিত্র ও পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা, সামর্থ্য অনুপাতে উত্তম খাবার বণ্টন করা, ঈদগাহে বা মসজিদে গমনের পূর্বে মিষ্টান্ন খাওয়া, ঈদের নামাজের পূর্বে ‘সাদকাতুল ফিতর’ আদায় করা, ঈদগাহে গমনকালে এক পথে যাওয়া এবং ফিরার সময় ভিন্ন পথে আসা,সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া, ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা,ঈদগাহে যাওয়ার সময় একাধারে তাকবিরে তাশরিক পড়া।
ঈদের নামাজের পর আমরা একে অপরের আলিঙ্গনে সিক্ত হবো। ভালোবাসায় বুকে বুক মিলাবো। পূর্ববর্তী সমস্ত হিংসা, বিদ্বেষ দাফন করে স¤প্রীতি আর সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ হবো। বড়দের পা ছুঁয়ে সালাম করব, যা হাদিস শরীফের আলোকে ‘সুন্নত’। ছোটদের স্নেহময় ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে নিব। সম্ভব হলে প্রচলিত রীতি অনুসারে ‘সালামি’ দিব। এতে আনন্দের মাত্রা বাড়ে। হাদিস শরীফে, একজন আরেকজনকে মহব্বত করে হাদিয়া প্রদানের মাধ্যমে ভালোবাসা বৃদ্ধির কথা এসেছে। তাই এটাকে ‘অপসংস্কৃতি’ বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। সম্পাদনা: এইচ এম জামাল
আপনার মতামত লিখুন :