নুর নাহার : শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করা হলেও বিশ্বের অনেক দেশে তা চলছে। ব্রিটেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ভেরিস্ক ম্যাপলক্রফট ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে শিশুশ্রমে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা ২৭টি দেশের তালিকা করেছে।- ডয়েচে ভেলে
প্রতিবেদনে মোট ২৭টি দেশের নাম উল্লেখ করেছে ভেরিস্ক ম্যাপলক্রফট। সবার ওপরে আছে উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়ার এই দেশের শিশুদের অবস্থাই সবচেয়ে খারাপ।
ভেরিস্ক ম্যাপলক্রফটের প্রতিবেদন অনুযায়ী,সবচেয়ে বেশি শিশুশ্রমের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সোমালিয়া। খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য সে দেশের অনেক শিশুকে মাইন তোলা এবং নির্মাণ কাজে সহায়তা করতে হয়।
সাউথ সুদানে অন্তত পাঁচ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। শিশুশ্রম রোধে দুই বছর আগে সরকার শ্রম আইন সংস্কার করেছে তারপরও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট নির্মাণের কাজে শিশুদের খাটানো চলছে।
ইরিত্রিয়ায় সোনার খনিতে কাজ করেশিশুরা।
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক : দেশটিতে যুদ্ধ, হানাহানি লেগেই আছে৷ শিশুরাও এ পরিস্থিতির শিকার। বিদ্রোহী সংগঠনগুলো শিশুদের যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করছে।
সুদান আফ্রিকার এই দেশে শিশুশ্রমের হার দেখে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের ৪৭ ভাগ শিশুই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে বাধ্য হয়।
ভেনেজুয়েলার শিশুদের বড় একটা অংশ অন্যের বাড়িতে কাজ করে। অনেক শিশু আবার পাচারকারীদের পাল্লায় পড়ে কলম্বিয়ায় পাড়ি জমায়। সেখানে দেহব্যবসায় বাধ্য করা হয় তাদের।
আট নম্বরে রয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পাপুয়া নিউগিনি। শিশুশ্রম বন্ধ করার চেষ্টা করছে সে দেশের সরকার। তবে এখনও খুব একটা সাফল্য আসেনি।
নবম স্থানে রয়েছে আফ্রিকার আরেক দেশ চাদ। সেখানে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা মূলত কৃষি ও তেল উৎপাদন খাতে কাজ করে।
ভেরিস্ক ম্যাপলক্রফটের তালিকার শীর্ষ দশের সাতটি দেশই আফ্রিকার। মোজাম্বিক রয়েছে দশম স্থানে। দেশটিতে শিশুশ্রম যে বাড়ছে তা সে দেশের সরকারও স্বীকার করে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের ২০১৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সে বছর সারা দেশে অন্তত ১০ লাখ শিশু পরিবহণ, কৃষি এবং দেহ ব্যবসায় কাজ করেছে। সম্পাদনা: এইচ এম জামাল
আপনার মতামত লিখুন :