শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০১৯, ০১:২২ রাত
আপডেট : ০৫ জুন, ২০১৯, ০১:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসিমুখের আড়ালে কঠিন রোগে আক্রান্ত ছিলেন সুস্মিতা!

মুসফিরাহ হাবীব : প্রথমে মডেলিং, তারপর মিস ইউনিভার্স থেকে বলিউড অভিনেত্রী। দীর্ঘ কেরিয়ারে সুস্মিতা সেনকে সব সময়ই হাসিমুখে দেখেছেন দর্শক। কিন্তু এ হাসিমুখের আড়ালে সুস্মিতা যে ছিলেন এক কঠিন রোগে আক্রান্ত তা হয়ত কারোই জানা ছিল না। সে কথা এতদিন পর নিজেই জানিয়েছেন সুস্মিতা।

সালটা ছিল ২০১৪। ‘নির্বাক’-ছবির শুটিং শেষের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুস্মিতা। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, দুর্বলতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নায়িকাকে। সুস্মিতার কথায়, ‘বুঝতে পারলাম, আমার অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি কর্টিসল উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ভাগ্য ভাল যে, আমি জ্ঞান হারাতে হারাতে সামলে নিতে পেরেছিলাম। কারণ, আমি অ্যাড্রিনালের সমস্যার মধ্যে দিয়ে আগেও গিয়েছিলাম।’

সুস্মিতা জানান, ওই সমস্যার পর তার এক একটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেন প্রায় অকেজো হয়ে যেতে থাকে। ফলে চিকিৎসকরা স্টেরয়েড নেওয়ার পরামর্শ দেন। তখন থেকেই স্টেরয়েড নির্ভর জীবন হয় তার। হাইড্রোকর্টিসোন নিতে হত প্রতি আট ঘণ্টা পরপর। কারণ তার শরীরে ওই হরমোন আর তৈরি হত না।

স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে পরের দু’বছর আতঙ্কে কেটেছিল সুস্মিতার। পাবলিক ফিগার হওয়ার কারণেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে না পারার আতঙ্ক চেপে বসেছিল তাকে। সঙ্গে শুরু হয়েছিল রক্তচাপজনিত সমস্যা। ২০১৪ থেকে ২০১৬-এর মধ্যে প্রকাশ্যে খুব কম দেখা গেছে সুস্মিতাকে। সে সময় লন্ডন এবং জার্মানিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শরীর থেকে এনার্জি চলে গেলেও পরে নিজেই নিজেকে মোটিভেট করতে শুরু করেন বলে জানিয়েছেন সুস্মিতা।

জীবনে ফিরতে সুস্মিতা যোগা, জিমন্যাস্টিক শুরু করেন । কিন্তু ২০১৬ সালের অক্টোবরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে আবুধাবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন, সুস্মিতার অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি ফের কর্টিসল উৎপাদন শুরু করেছে। তখন তার স্টেরয়েড বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সুস্মিতা বলেন, ‘ওই মুহূর্তের অপেক্ষায়ই ছিলাম। ফলে খবরটা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ২০১৬’র অক্টোবর থেকে ২০১৮-র আগাস্ট পর্যন্ত স্টেরয়েড বন্ধ রাখায় উইথড্রয়াল সিনড্রোম (খিঁচুনি) শুরু হয়েছিল। তখন আবার ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু করেন তিনি। ভারতে এবং বিদেশে যে সব চিকিৎসকদের সান্নিধ্য পেয়েছেন তারাই তাকে আবার উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন সুস্মিতা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়