শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০১৯, ০৫:৪৪ সকাল
আপডেট : ০৪ জুন, ২০১৯, ০৫:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আড়ং বিদেশিদের গলা কাটে, এখন দেশিদেরও

মুনমুন খান, ফেসবুক থেকে, আড়ং এর শুরুটা হয়েছিলো একটি শ্রেণির ক্রেতাকে টার্গেট করে।যাঁদের সামর্থ আছে,প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বিদেশী পণ্য ক্রয় করবার।আমার মনে আছে,সাধারণ ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ছিলো আড়ং এর পণ্যের মূল্য।কেন???
কারণ,কেউ হয়তো ভেবেছিলো,এই শ্রেণির ক্রেতার টাকাগুলোকে দেশেই রাখা যায় কিনা এবং সেই সাথে বাংলাদেশের লোক ও কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা যায় কিনা.....

আজকাল আমরা খুব বলি,"ও আড়ং!!!আড়ং তো ক্রেতার গলা কাটে!!!"

কিন্তু এই গলা কাটার অর্থ আড়ং কি করে, সেট কি কেউ জানি???

গ্রামের একজন দুস্থ নারী, হয়তো বিধবা কিংবা তাঁর উপার্জন করার মতো কোন যোগ্যতা নেই।ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া তার কোনও উপায় নেই।কিন্তু সে সেলাই /হাতের কাজ জানে,নয়তো শিখিয়ে নিলে পারবে।অর্থাৎ তাকে দিয়ে কিছু পণ্য তৈরি করিয়ে নিলে তিনি বেঁচে যাবেন।এই পণ্যগুলো বাজারজাত করার জায়গাটিই হচ্ছে আড়ং।

এখন অনেকেই বলবেন,"দুস্থ নারীর তৈরি পণ্যের বিনিময়ে আড়ং তাকে দেয় মাত্র ২০০/২৫০ টাকা,আর আড়ং বিক্রি করে আড়াই হাজার টাকায়!!!"
পণ্যটি তৈরি করতে যতটুকু খরচ হয়, তার পারিশ্রমিক হিসেবে যা দেয়া হয়,তাতে দুস্থ মানুষটির স্বাবলম্বী হয়ার পথ যথেষ্টই উন্মুক্ত থাকে।সেজন্য এ নিয়ে তাদের মধ্যে তেমন কোনও অসন্তোষ নেই।

আচ্ছা,বিদেশী পণ্য যখন এদেশে অনেক দামে বিক্রি হয়,তখন আমরা ক'জন তার উৎপাদন খরচ নিয়ে ভেবে পণ্যটি কিনি???একটা মোটা অংকের টাকা বিনা প্রশ্নে আমরা বিদেশে দিয়ে দিচ্ছি।কোনও দরদ লাগছে না।বরং সবাইকে বলতে পারছি,"বিদেশী জিনিস,দাম তো একটু হবেই!!!"
আর এক্ষেত্রে কিন্তু ক্রেতা যথেষ্ট সামর্থ্যবান।

এবার আসি আমি কেন আড়ং এর ব্যাপারে এভাবে বলছি???

বলছি কারণ, আমার যখন অর্থাভাবে অনার্স পড়াটাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো,তখন আড়ং আমাকে উপার্জন করে নিজের খরচে সাফল্যের সাথে লেখাপড়া শেষ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো।আমার মতো অসংখ্য ছেলেমেয়ে আড়ং এ চাকরি করে নিজের লেখাপড়া চালায় এবং নিজের পরিশ্রমী ও গোছানো, সমৃদ্ধ একটি ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারে।আর আড়ং এর মতো নিরাপদ বিশেষ করে মেয়েদের জন্য কর্মপরিবেশ আর একটিও ছিলো না,এখনো মনেহয় নেই।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের দুস্থ নারীটিসহ শহরে পড়তে আসা অসংখ্য ছেলেমেয়েদের উপার্জনের মাধ্যম আড়ং।সেইসাথে হারিয়ে যেতে বসা লোক এবং কুটির শিল্পকেও বিশ্বের বুকে মর্যাদার জায়গায় পৌঁছে দেবার প্রতিষ্ঠানটির নাম আড়ং।

হুজুগে তো কত কিছুই করি।বড়সড় শপিং কমপ্লেক্সের বিদেশী ব্র‍্যান্ডের মূল্য নিয়ে কথা বলি কি???সেই অর্থ কোথায় যায়, ভাবি কি???আড়ং এর পণ্য বিক্রির অর্থ কিন্তু দেশেই থাকছে।বরং মুনাফার একটি বড় অংক ব্যয় করা হয় ব্র‍্যাকের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলোতে।

জানিয়ে রাখি,মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে অনেক দাতা গোষ্ঠীই তাদের ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছে,যার বেশ কিছু দিয়ে ব্র‍্যাকের খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কর্মসূচি চলতো।আড়ং এর মতো মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান না থাকলে ব্র‍্যাকের সেইসব কর্মসূচি হয়তো বন্ধ করে দিতে হতো।তাতে বেকারত্ব আরও বাড়তো,আরও অনেক পরিবার আর্থিক সংকটে পড়তো।

আবারও বলছি,আড়ং ক্রেতা হিসেবে তাদেরকেই নির্ধারণ করেছিলো,যারা বিদেশী পণ্য কিনতে ব্যয় করতে সমর্থ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়