শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০১৯, ০৫:৫৪ সকাল
আপডেট : ০৪ জুন, ২০১৯, ০৫:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রানের পাহাড় টপকাতে পারলো না স্বাগতিক ইংল্যান্ড

সালেহ্ বিপ্লব : প্রথম ম্যাচেই পরাজয়ের পর এই ম্যাচটি জিততে মরিয়া ছিলো পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী, কিন্তু জয় না পেলে বিশ্বকাপ মিশন একেবারে তেতো হয়ে যাবে, এটাই একমাত্র হিসেব ছিলো ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি পাকিস্তানের জন্য। আর জয়ের তীব্র আকাক্সক্ষাতেই ট্রেন্ট ব্রিজের মাঠে রানের রেকর্ড গড়ে ফেললো তারা। এতো বড়ো স্কোর ধাওয়া করে অতীতে কেউ জয় পায়নি, ইংল্যান্ডও পেলো না। শেষ বলটি পর্যন্ত তুমুল লড়াই করে স্বাগতিক দেশটি তাদের দ্বিতীয় খেলার পরাজয় মানলো পাকিস্তানের কাছে। ৩৪৯ রানের টার্গেট ছুঁতে গিয়ে একেবারে খারাপও করেনি ব্রিটিশরা, যদিও থেমে যেতে হয়েছে ৩৩৪ রানেই। হার মানলেও এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ও জোড়া সেঞ্চুরি রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। অনবদ্য ব্যাটিং-এ সেঞ্চুরি করেছেন জস বাটলার ও জো রুট। ১০৪ বল খেলে জো রুট করেন ১০৭ রান আর ৭৬ বল খেলে জস বাটলার করেছেন ১০৩ রান।

অলরাউন্ড পারফর্মেন্সের (৮৪ রান ও ১ উইকেট) কারণে ম্যাচ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ ।

বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজ স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয় । টসে জিতে ফিল্ডিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড, নিশ্চয়ই লক্ষ্য ছিলো যতো কমে পারা যায় প্রতিপক্ষকে বেঁধে ফেলার। কিন্তু ব্রিটিশদের সে টার্গেট পূরণ হতে দেয়নি পাকিস্তান। রীতিমতো মারদাঙ্গা খেলে এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে তারা। ৮ উইকেটে ৩৪৮ ।
ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি। শুরুটা ভালো করেন তারা। ৮২ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ প্রতিপক্ষকে কিছুটা হলেও নার্ভাস করেছে। তবে মঈন আলীর বলে ব্যক্তিগত ৩৬ রান নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ফখর জামানকে, তাকে স্ট্যাম্পিং করেন ইংলিশ উইকেটকিপার জস বাটলার।

 

প্রথম উইকেটের পতন ঘটিয়ে নতুন গতিপান মঈন। একে একে প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠান ইমাম (৪৪) ও বাবর আজমকে (৬৩)। দুজনকেই তালুবন্দি করেন ক্রিস ওকস। অবশ্য ততোক্ষণে মোহাম্মদ হাফিজকে পার্টনার করে দলের বড়ো সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেন বাবর।

হাফিজের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং এই বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জোরালো করে তুলেছিলো। কিন্তু৬২ বলে ৮৪ রান করে মার্ক উডের বলে ওকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তবে সাজঘরে ফেরার আগে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ডে দলীয় ২৭৯ রান লিখিয়ে যান তিনি।
মার্ক উড এরপর তুলে নেন আসিফ আলীকে (১৪)। সরফরাজকে ৫৫ রানে ফেরত পাঠান ওকস। এরপর তিনি শোয়েব মালিক (৮) ও ওয়াহাব রিয়াজকে (৪) আউট করেন তিনি।
৫০ ওভারের শেষ প্রান্তে ৫ বলে ১০ রান করেন হাসান আলী, আর শাদাব খান ২টি চার মেরে সংগ্রহ করেন ১০ রান।
এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের শুরু হার দিয়ে। এই মাঠেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৭ উইকেটে পরাজিত হয় দলটি। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড শুরু করেছে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে। লন্ডনের দ্য ওভালে উদ্বোধনী ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৪ রানের জয় পায় স্বাগতিকরা।
রানের পরিসংখ্যান মাথায় রেখে জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ফিল্ডিং-এ নামে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতো বড়ো স্কোর তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই কারো। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ৩২৭ রান করেছিলো, ভেবেছিলো বিশাল এই রান নিয়ে উতরে যেতে পারবে। কিন্তু আয়ারল্যান্ড ৩২৯ রান করে ম্যাচ জিতে নিয়েছিলো। আর এটিই এখন পর্যন্ত বড়ো স্কোর তাড়া করে জয়ী হওয়ার রেকর্ড। এই হিসেব মাথায় রেখে অনেকটা স্বস্তি নিয়েই ফিল্ডিং-এ নামে পাক বাহিনী।
ব্যাটিং এ নেমেই ঝড় তোলার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। প্রথম দুই উইকেট অল্প রানে হারালেও দুটি সেঞ্চুরির সুবাদে জয়ের স্বপ্নকে উজ্জ্বল করে তোলে তারা। অনেকটা পথ পার হয়েও শেষ অবধি জয় অধরা থেকে যায় স্বাগতিকদের কাছে।
ইংল্যান্ড : জ্যাসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, আদিল রশীদ, জোফরা আর্চার ও মার্ক উড।
পাকিস্তান : ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক) ,শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ হাফিজ, আসিফ আলী, শাদাব খান, হাসান আলী, ওয়াহাব রিয়াজ ও মোহাম্মদ আমির।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়