শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০১৯, ০৩:০৬ রাত
আপডেট : ০৪ জুন, ২০১৯, ০৩:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সন্দেহভাজন জঙ্গিদের তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণের অভাবে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব

মোহাম্মদ মাসুদ : র‌্যাব বলছে, সন্দেহভাজন যেসব জঙ্গি আদালত থেকে জামিন পেয়েছে, তাদের উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করা কঠিন একটি কাজ বলে মনে করছেন তারা। র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানিয়েছেন জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া প্রায় ৩০০ জন এরই মধ্যে জামিন নিয়ে বেরিয়ে গেছেন, যার অর্ধেকই এখন পলাতক। বিবিসি বাংলা
প্রশ্ন, জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে থাকলে তাদের উপর কতটা নজরদারি করা সম্ভব হচ্ছে এবং তারা পালিয়ে গেলে তা কতটা উদ্বেগের জঙ্গিবাদে যাতে নতুন কেউ জড়াতে না পারে এবং যাদের সেই ধরণের লক্ষণ আছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা আমাদের প্রধান লক্ষ্যের মধ্যে আছে। আবার যারা জামিন পেয়ে বের হয়ে আসছে, তাদের ২৪/৭ নজরদারির মধ্যে রাখা সম্ভব হয় না।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইন রয়েছে, এই আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে, নজরদারির দায়িত্বে থাকবে। তাহলে জামিন পাওয়া এইসব সন্দেহভাজন ব্যক্তি কীভাবে পলাতক হয়ে যায়?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমোনলজি বিভাগের শিক্ষক খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যেসব বাহিনী রয়েছে, তাদের মধ্যে সঠিক সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এরা (সন্দেহভাজনরা) কিন্তু দেশের বাইরে চলে যেতে পারে। কারণ ইমিগ্রেশনের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন সমন্বয় নেই।

তিনি বলেন, বিদেশের ইমিগ্রেশনে সন্দেহভাজনদের তথ্য থাকে। বাংলাদেশের কাউন্টার টেরিরজম, র‌্যাব, সোয়াট এবং ঐ ব্যক্তির তথ্য থানায় থাকা উচিত। এসব সন্দেহভাজন জঙ্গিদের তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়নি। যার ফলে পালিয়ে যাওয়ায় সম্ভব হয়।

মানবাধিকারকর্মী নূর খান মনে করেন, নজরদারির অভাবে এ ধরণের সন্দেহভাজনরা আবারো সংগঠিত হওয়ার একটা সুযোগ পায়, যার ফলে আবারো একটা দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

এই মানুষগুলো দীর্ঘদিন চুপ থাকে, গ্রেফতার হওয়ার পর মূল যে সংগঠন তারাও দূরত্ব বজায় রেখে চলে কিছু সময় পর্যন্ত পরে আবার তারা সংগঠিত হয় এবং আক্রমণ করে।

তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের গোয়েন্দার মূল দায়িত্ব হল এদেরকে নজরদারির মধ্যে রাখা। কিন্তু এই নজরদারিতে রাখতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আগামীতে এক ধরণের আশঙ্কা থেকেই যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়