হ্যাপি আক্তার : বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি মামলার সাড়ে তিন বছর পরেও অভিযোগপত্র দিতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সংস্থাটির আইনজীবী বলছেন, বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুকে অভিযুক্ত করে শিগগিরই অভিযোগপত্র দেয়া হবে। আর টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের মতে, সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা সত্তেও মূল হোতাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রাখা হয়েছে। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বেসিক ব্যাংকের ২১’শ কোটি টাকা ঋণ জ্বালিয়াতির ঘটনায় ৫৬ টি মামলা করে দুদক। আসামী করা হয়েছিলো ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফখরুল ইসলামসহ ১২৭ জনকে। কিন্তু আত্মসাত হওয়া বড় ঋণ গুলোর প্রধান অনুমোদনকারী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর নাম আসামীর তালিকায় আসেনি।
আসামী তালিকায় আব্দুল হাই বাচ্চু ও তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদকে মামলার আসামী না করায় আদালতের অসন্তোষ প্রকাশের পর ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বাচ্চুকে ৫ বার জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এরপর কয়েকটি মামলার বাদী বদল হয়। এবং স্থবির হয়ে যায় মামলা কার্যক্রম।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা সত্তেও মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রাখা হয়েছে। যার কারণে এই বার্তাটিও পৌঁছে যেতে পারে যে দুর্নীতি করেও পার পাওয়া যেতে পারে।
কিন্তু বেসিক ব্যাংক নিয়ে কথা বলতে চান না দুদক চেয়ারম্যান। তার মতে ব্যাংকিং খাতে এর চেয়ে বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা আছে।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি মামলাগুলো সংখ্যায় বেশী হওয়ায় অভিযোগপত্র দাখিলে সময় লাগছে বলে জানান দুদকের আইনজীবী। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :