শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৩ জুন, ২০১৯, ০৯:৩১ সকাল
আপডেট : ০৩ জুন, ২০১৯, ০৯:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দ্বিতীয় মেয়াদে মোদীর পররাষ্ট্রনীতির পরীক্ষা হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকায়

হ্যাপি আক্তার : ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তার প্রশ্নে চীনের সাথে তীব্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভারত এই অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়াতে পারবে কিনা তা আরো ভালোভাবে পরিস্কার হয়ে যাবে শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের মতো দেশে, তবে পাকিস্তান থেকে সে আরো দূরে সরে যাবে। সাউথ এশিয়া মনিটর।

মালদ্বীপেই মোদির আঞ্চলিক পররাষ্ট্রনীতির যাত্রা শুরু হবে। তিনি এই মেয়াদে তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর করবেন সেখানে, ৭-৮ জুন। সফরকালে তিনি ৮৭ সদস্যবিশিষ্ট পার্লামেন্টে বক্তৃতা করবেন। সম্প্রতি স্পিকার নির্বাচিত হওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ চলতি সপ্তাহে বলেছেন, ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা ভারত মহাসাগর অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সফর হচ্ছে হিসাবি পদক্ষেপ। ভারত এই এলাকাকে নিজের আঙিনা মনে করে। আর এখানেই ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, মোদির কাছে ভুটানের চেয়ে মালদ্বীপ অনেক বেশি ম‚ল্যবান। এ কারণেই তিনি এবার মালদ্বীপে যাচ্ছেন প্রথম সফরে। প্রথম মেয়াদের প্রথম সফর করেছিলেন ভুটানে।
গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোদি মালদ্বীপে রাজনৈতিক মিত্র পেয়েছেন। ওই সময় চীনপন্থী ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে পরাজিত করেন ভারতপন্থী ইব্রাহিম সলিহ।

তবে চীন এরপর মালদ্বীপ ও দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী যেমন শ্রীলংকা, বাংলাদেশ ও নেপালে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে।

মোদির প্রথম মেয়াদে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরালো হলেও তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েই গেছে।

আবার ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যের মাছধরা ট্রলারগুলো প্রায়ই শ্রীলংকার উপক‚লে হানা দেয়। এটি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের সৃষ্টি করে।

ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক থিংক ট্যাংক হাডসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অপর্না পান্ডে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের সম্পৃক্ততা ও উপস্থিতির ফলে ভারতের প্রভাব বলয় সৃষ্টির কাজ সহজ হচ্ছে না। তারা তাদের প্রতিবেশীদেরকে কেবল এটা করো, সেটা করো, বলতে পারছে না।

শ্রীলংকার ক‚টনীতিবিদ বার্নাড গুনেতিলেকে বলেন, এই অঞ্চলে প্রস্তাবিত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ভারতের অংশীদার হিসেবে মোদি জাপানকে গ্রহণ করবেন। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়