শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৩ জুন, ২০১৯, ০৪:২৩ সকাল
আপডেট : ০৩ জুন, ২০১৯, ০৪:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিদিশা মনে করেন, এরশাদ ও তার ডিভোর্সের জন্য তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরই দায়ী

দেবদুলাল মুন্না: সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের সঙ্গে প্রেম ও ডিভোর্স প্রসঙ্গে বিদিশা বললেন, ‘এরশাদের ভীষণ রোমান্টিক।উনার মধ্যে আমাকে সারপ্রইজ দেওয়ার একটা প্রবণতা ছিলো।খুব গুছিয়ে অল্প কথায় তার ভাবনা প্রকাশ করার ক্ষমতা অসাধারণ।আমি সেকারণেই উনার প্রেমে পড়ি। দাম্পত্য জীবনের শুরুটা ছিল দারুণ। আমরা অনেক দেশ ঘুরে বেড়িয়েছি।প্রতি শুক্রবারে উনি আমাকে নামাজের পর স্পেশাল সময় দিতেন। রংংপুর গিয়েছি। সবাই তার বউ হিসেবে অসম্ভব ভালোবেসেছেন।২০০১ সালে আমি জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হই।কিন্তু ২০০৫ সালে আমাদের ডির্ভোস হয়।আমি এই ডিভোর্সটিকে ‘পলিটিক্যাল’ বলব।’

কেন ডিভোর্স হলো-এর জবাবে বিদিশা বলেন, ‘ আমি উনাকে বিয়ের পরপরই জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হই।উনার জীবনের সুখ দু:খের সারাজীবনের অংশীদার হতে চেয়েছিলাম।তো, রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই আমার আব্বার পরিচয়ে যেসব সিনিয়র নেতারা আওয়ামীলীগের ছিলেন তাদের সঙ্গে আমার ভাল যোগাযোগ ছিলো।বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা সাক্ষাৎ হতো।কারণ আমিও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।কিন্তু বিএনপির হাইকমান্ড এটিকে ভালোভাবে নিলো না। তারা মনে করলেন, আমি এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে চাচ্ছি আওয়ামীলীগের পাশে থাকার।পক্ষে থাকার।এরশাদ সাহেবও জনতা টাওয়ার মামলায় কাবু ছিলেন।সেসময় বিএনপি ক্ষমতায়। তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরেরা এরশাদের ওপর একটা চাপ প্রয়োগ করেন যে আমার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করার জন্যে।উনার (এরশাদের) হয়তো বাস্তব রুঢ়তার কারণেই আমাকে ডিভোর্স দিতে হয়েছিল।বিএনপি উনাকে( এরশাদ)কে মিথ্যা মামলা করার জন্য চাপ দিতে থাকে। পরে এরশাদ সেলফোন চুরির মামলা করেন ২০০৫সালে।সেই মামলায় আমি জেলে যাই।২৭ দিন জেলে থাকি।সেসময় রিমান্ডে আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়।আমার হাতের নোখ উগড়ে ফেলা হয়।সেসময়েই আমি জেলে থাকাকালে এরশাদ সাহেবের ডিভোর্স লেটার পাই।’

এরপর বিদিশা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলেন, ‘ কিন্তু আমি টের পাই উনি ( এরশাদ)এখনও আমাকে পছন্দ করেন। কারণ কয়েকবছর আগে তিনি আমার জন্মদিনে একটা ‘টাইটানিকের শো-পিস’ পাঠান। আমি ফোন করে জানতে চাই এটি পাঠানোর কি দরকার ছিলো? তিনি বলেন, আমাদের প্রেমও তো টাইটানিকের মতো ডুবে গিয়েছে।উনি যখন কয়েকমাস আগে হানপাতালে চিকিৎসাধীন তখন আমি তাকে দেকতে গেলে তিনি ইশারায় পাশে বসতে বলেন। আমি বসার পর আমার হাত ধরে অনেকক্ষণ বসে থাকার পর দেখি তিনি বিড়বিড় করে বলছেন, ‘ আমি কোনোদিন মুক্ত ছিলাম না। সরি।আমাকে ক্ষমা করে দিও।’

‘শক্রর সঙ্গে বসবাস’ নামের বইতে আপনি তো এরশাদকে অন্যভাবে পোট্রেট করেছেন বললে বিদিশা বলেন, ‘ তখনকার আমার ম্যাচুরিটি আর এখনকার তো এখন না।এখন বুঝি উনি ( এরশাদ) রাজনীতির কারণে কতোটা নিরুপায় ছিলেন। তার আমার প্রতি ভালবাসা মিথ্যা নয়। জাতীয় পার্টির তৃণমুলের নেতাকর্মীরা চাইলে এ কারণেই দলে ফিরতে চাই যাতে এরশাদের অসমাপ্ত স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে চাই।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়