শেখ নাঈমা জাবীন : ডি-কোম্পানির এখন আর্থিক অনটন যাচ্ছে। যার ফলে খানিকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কোম্পানির কর্ণধার বিশ^খ্যাত মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম। তাই নাশকতা এবং জালনোটের কারবার অনেকদিন ধরেই থমকে গিয়েছে। এবার তাই নতুন পথ ধরে জালনোটের কারবারের ছক কষেছে দাউদ। ইতিমধ্যেই ভারতের টাকাকে ফের জাল করে বাজারে ছাড়তে চলেছে দাউদ কোম্পানি। ভারতের পূর্ব সীমান্ত দিয়ে তা প্রবেশ করাতে ছক কষেছে দাউদ এবং তাঁর কোম্পানি। রবিবার এই উদ্বেগের খবর জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারি সংস্থা (এনআইএ)। আজকাল
এনআইএ সূত্রে খবর, এই কাজের জন্য পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে আঁতাত গড়ে তুলেছে দাউদের ডি-কোম্পানি। এই আঁতাতের কথা প্রথম জানতে পারা যায় নেপাল থেকে জালনোট সমেত ধরা পড়া ইউনূস আনসারির কাছ থেকে। এই চক্রের সে মূল পাণ্ডা। এমনকী দাউদের সঙ্গে এবং আইএসআইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল ইউনূসের। এই ইউনূসকে জেরা করে তিনজন পাক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহম্মদ আখতার, নাদিয়া আনোয়ার এবং নাসিরুদ্দিন এই জালনোটের কারবারের সঙ্গে যুক্ত।
এই তিনজনকে জেরা করে এনআইএ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন নেপাল সীমান্তকেই বেছে নেওয়া হয়েছে জালনোট ছড়ানোর কাজে। এমনকী বাংলাদেশ সীমান্তকেও ব্যবহার করে এই কাজ চালানোর ছক কষা হয়েছে। তা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার হয়ে যায় এক দুষ্কৃতকারী। তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে। গুজরাট থেকেও এক জালনোট কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এছাড়া গুরুগ্রামসহ অন্যান্য রাজ্য থেকে জালনোট কারবারিদের গ্রেপ্তার করা চলছে। তার মধ্যেই নতুন পথ ধরে ভারতে জালনোট ঢোকানোর ছক কষেছে দাউদ কোম্পানি। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :