আসিফুজ্জামান পৃথিল : আজ থেকে যুক্তরাজ্য সফর শুরু করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফরে ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করবেন ট্রাম্প। এর আগের সফরে রানীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ট্রাম্প দুইবার প্রটোকল ভেঙেছেন। তাই ঘুরেফিরে প্রশ্ন আসছে, ট্রাম্প কি আবারো প্রটোকল ভাঙবেন? তবে এক্ষেত্রে ট্রাম্প একা নন। ব্রিটিশ রানীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রটোকল ভেঙেছেন বিশ^নেতারাসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিই। ওয়েব।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের নীতি অনুযায়ী রানী কিংবা রাজপরিবারের কারো সঙ্গে স্বাক্ষাতের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম অবশ্য পালনীয়। রানীর সামনে হাঁটু ভেঙে কুর্নিশ করা যাবে। চাইলে সামান্য ঝুঁকেও সম্মান জানানো যায়। এসময় আলতো করে হাত স্পর্শ করা যাবে। তবে হাত ধরে ঝাঁকানো যাবে না। রানী বা রাজপরিবারের কাউকে স্পর্শ করা যাবে না, কাঁধে হাত দেওয়া যাবে না, জড়িয়ে ধরার তো প্রশ্নই আসে না। রানীকে অবশ্যই ‘হার ম্যাজেস্টি’ বলে ডাকতে হবে। তবে নরম সুরে ম্যামও ডাকা যেতে পারে। রানীর আগে অতিথিকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। তার আগে হাঁটা যাবে না। তিনি না খেলে তার আগে খাওয়া যাবে না।
২০১৮ সালে যুক্তরাজ্য সফরের সময় কমপক্ষে ২টি প্রটোকল ভেঙেছেন ট্রাম্প। রানীর সঙ্গে দেখা করার নির্দিষ্ট সময়ে না পৌঁছে রানীকে অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিলেন।এতেই থেমে থাকেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট! রানীর সামনে সামান্যতম মাথাও ঝাঁকাননি। রানীর হাত আলতো করে স্পর্শ করার বদলে জোরে ঝাঁকিয়েছেন। হাঁটার সময় রানীকে পাশা কাটিয়ে গিয়েছেন। এ ধরণের ঘটনাকে শিষ্ঠাচারের অনেক বড় লঙ্ঘন বলে মনে করে ব্রিটিশরা।
তবে ট্রাম্পের আগেও শিষ্ঠাচার লঙ্ঘনের বড় ঘটনা আগেও ঘটিয়েেেছন অনেকে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে মার্কিনিরা। সাবেক মার্কিন ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা রানীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রানীর ঘনিষ্ঠ হয়ে তার পিঠে হাত রাখেন। ঘটনাটি একদম ভালো চোখে নেয়নি ব্রিটিশ গণমাধ্যম। ২০০৩ সালে এক রাষ্ট্রীয় সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ রানীর হাত সজোরে ঝাঁকিয়েছিলেন। এক সফরে কানাডার গভর্নর জেনারেল ডেভিড জনস্টন রানীর কনুই চেপে ধরেছিলেন। ১৯৫৭ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেন হাওয়ার এক নৈশভোজে গিয়ে রানী এলিজাবেথের আগে খেতে শুরু করে দিয়েছিলেন। সারা জীবন সৈনিকের জীবন পালন করা আইজেনহাওয়ার এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কাই করেননি। সম্পাদনা: লিহান লিমা
আপনার মতামত লিখুন :