আনন্দবাজার অনলাইন : অনেকটা যেন সেই ‘খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে, কাল হল তাঁর এঁড়ে গরু কিনে’! মহাত্মা গাঁধী ও নাথুরাম গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত টুইট করে এখন রীতিমতো বিপদে পড়ে গিয়েছেন বৃহন্মুম্বই পুরসভার আধিকারিক মহিলা আইএএস অফিসার নিধি চৌধরি। চাকরি যায় যায় অবস্থা। শরদ পওয়ারের দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা নিদেনপক্ষে সাসপেন্ড করার দাবিতে সরব হয়েছে।
গত ১৭ মে ‘গডসে’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে নিধি একটি টুইট করেন। তাতে তিনি মহাত্মী গাঁধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। লেখেন, দেশের যেখানে যত গাঁধীমূর্তি রয়েছে, সেই সব ভেঙে দেওয়া হোক। অফিসে, ঘরের দেওয়ালে মহাত্মা গাঁধীর ছবি টাঙানো থাকলে, তা নামিয়ে ফেলা হোক। এমনকী, আমাদের টাকায় তাঁর যে মুখের ছবি এনগ্রেভ করা থাকে, তা তুলে ফেলা হোক।
ওই টুইটের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে এনসিপি। শরদ পওয়ারের দলের নেতা জিতেন্দ্র অওহাদ বলেছেন, ‘‘বরখাস্ত যদি নাও করা হয়, মহাত্মা গাঁধীকে নিয়ে ওই মানহানিকর টুইটের জন্য এখনই সাসপেন্ড করা হোক আইএএস অফিসার নিধি চৌধরিকে। উনি গাঁধীর আততায়ী নাথুরাম গডসেকে বড় করেছেন আর খাটো করেছেন জাতির জনককে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’
বিতর্ক দানা বাঁধতেই নিধি অবশ্য তাঁর টুইটটি ডিলিট করে দিয়েছেন। বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, তিনি ঠাট্টা করেই ওই সব লিখেছেন। মহাত্মা গাঁধীকে খাটো করতে চাননি। নিধির কথায়, ‘‘আমি মহাত্মা গাঁধীকে অপমান করতে চাইনি। ওঁরা বুঝতে চাইছেন না, আমি টুইটটি করেছিলাম ঠাট্টা করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মহাত্মী গাঁধী সম্পর্কে নানা রকমের বিরূপ মন্তব্য করে চলেছেন। এই বছরের জানুয়ারি থেকে সেটা আরও বেড়েছে। সেই সব দেখেই আমি ওই টুইট করেছিলাম।’’
লোকসভা নির্বাচনের আগে গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেছিলেন ভোপাল থেকে জয়ী বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। বলেছিলেন, ‘‘গডসে এক জন দেশপ্রেমিক ছিলেন। দেশপ্রেমিকই থাকবেন আমাদের কাছে।’’ সেই মন্তব্যের জন্য পরে ক্ষমাও চান প্রজ্ঞা। পরে অভিনেতা থেকে রাজনীতিক হওয়া কমল হাসন বলেন, ‘‘স্বাধীন ভারতে প্রথম সন্ত্রাসবাদী গডসে, যিনি এক জন হিন্দু ছিলেন।’’
আপনার মতামত লিখুন :