রবিউল আলম : রাজনৈতিক শক্তি এবং রাজনৈতিক ঐক্য বাঙালি জাতির সঠিক পথের নির্দেশক ছিলো। আজ একি দেখতে হচ্ছে কৃষকের ধান নিয়ে, কোথায় আমাদের রাজনৈতিক কর্মীবাহিনী, কোথায় কৃষক প্রেম। আমরা একটি স্লোগানে বিশ্বাসী... শ্রমিক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, কৃষক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, শ্রমিক-কৃষক ভাই ভাই, বাঙালি জাতির ঐক্য চাই। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা, পুলিশ বাহিনী এমনকি এলাকার যুব সমাজ আজ কৃষকের ধান কাটায় ব্যস্ত, এই মহতী উদ্যোগের প্রশংসা করার ভাষা আমার কাছে নেই। আমি কৃতিজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই তাদের কাছে। দুঃখ লাগছে, কষ্ট পাচ্ছি আমার দল আওয়ামী লীগ এখনো কৃষকের পাশে কেন নেই, কেন কৃষককে ধান কাটায় সহায়তা করছে না। এই মহতী কাজের সুযোগ তো আর বারবার আসবে না।
জাতির সেবা করার সুযোগ সবসময় আসে না। ৭০’র জলোচ্ছ্বাসে আওয়ামী লীগ কর্মীবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলো বলেই তো আমরা গর্বিত। জাতীয় দুর্যোগকালীন সময় আওয়ামী লীগ কখনো ঘরে বসে থাকতে পারে না, থাকেনি। বাঙালি জাতির প্রিয় সংগঠন এমনি এমনি আওয়ামী লীগ হয়ে যায়নি। বিএনপি কেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এখনো ধান বাঁচাতে কৃষকের পাশে নেই। আমি শুধু তাদের কথাই বলতে ও লিখতে চাই না কারণ কৃষক প্রেম সবার হয়। ওরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, মুক্তির জন্য আইনগত কিছু করে না। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট চায়, ধান বাঁচাতে কৃষকের পাশে নেই। বিএনপি বলে কি, আর করে কি তারা নিজেরাও সেটা জানে না, সাধারণ জনগণ বুঝবে কেমন করে? জাতি বুঝতে পারলে তো ভোটের মাধ্যমে তাদের স্বীকৃতি প্রদান করতো।
আওয়ামী লীগের দায় অনেক, আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে দাবি করছি, আসুন কৃষকের ধান কাটি, কৃষক বাঁচাই বাংলাদেশ বাঁচবে। আগামী দিনের খাদ্য রক্ষা করে ইতিহাস সৃষ্টি করি। শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার, কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের কাছে প্রমাণ করি আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। বাঙালি জাতির মুক্তি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শ্রমিকদের অধিকার, কৃষক রক্ষা একমাত্র শেখ হাসিনার সরকারই করতে পারে। কথামালার রাজনীতির দিন শেষ, এখন ধান কেটে প্রমাণ করতে হবে... আমরা পারি, আমরাই পারবো এদেশ রক্ষা করতে। মাদক ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, ইজারাদার, চাঁদাবাজদের রাজনীতি শেষ হয়ে আসছে।লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :