ডেস্ক রিপোর্ট : প্রায় সব মানুষ নেতিবাচক আবেগ দ্বারা তাড়িত হন। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। যখনই কেউ কোনো নেতিবাচক স্মৃতিকে স্মরণ করেন, অনুশোচনায় ভোগেন- তখন শরীরও মনের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গবেষকরা বলছেন, নেতিবাচক মানসিকতা দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
উল্টো দিকে ক্ষমাশীল হওয়া, ইতিবাচক মানসিকতা শরীরকে সুস্থ রাখে। যদিও ক্ষমা করাকে আমাদের সমাজে অনেকে দুর্বল মানসিকতা বলে ভাবে।
তবে ‘দ্য গ্রেটার গুড সায়েন্স সেন্টার’ বলছে, মনোবিদরা সাধারণত ক্ষমাশীল হওয়াকে সচেতনভাবে, সিদ্ধান্ত নিয়ে যে ক্ষতি করেছে তার প্রতি বিশেষ অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে দেখে থাকে।
তারা বলছেন, ভেবে-চিনতে, সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষমা করা এবং আবেগের বশবর্তী হয়ে ক্ষমা করায় পার্থক্য আছে।
এ ক্ষেত্রে আবেগী ক্ষমা শরীরের জন্য উপকারী বলে তাদের মত। কারণ তা নেতিবাচক মনকে দূরে সরিয়ে দেয়।
জার্নাল অব বিহেভেরিয়েল মেডিসিন সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্ষমার মানসিকতা যাদের আছে তাদের ঘুম ভালো হয়, তারা কম অবসন্ন হন এবং পাকস্থলী ভালো থাকে।
এ ছাড়া ‘আমেরিকান জার্নাল অব কার্ডিওলজি’ জানায়, ক্ষমার রয়েছে হৃদযন্ত্র সুরক্ষিত রাখার গুণ। বিপরীতে নেতিবাচক মানসিকতার কারণে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ের রোগ ক্যানসারকেও দূরে সরিয়ে রাখে ক্ষমা।
‘দ্য ফরগিভনেস প্রজেক্ট’ বইয়ের লেখক ডা. মিশেল ব্যারি জানান, ৬১ ভাগ ক্যানসার রোগীর সঙ্গে ক্ষমার মানসিকতা বিষয়টি জড়িত।
তিনি বলেন, নেতিবাচক মানসিকতা ধারাবাহিক উদ্বেগ তৈরি করে। যা শরীরে মাত্রাতিরিক্ত অ্যাড্রেনাল ও করটিসল উৎপাদন করে। যা কোষের প্রাকৃতিক খুনি। যেসব কোষ শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধক সৈনিক হিসেবে কাজ করে।
উৎসঃ দেশ রুপান্তর
আপনার মতামত লিখুন :