মৌরী সিদ্দিকা : জম্মু-কাশ্মীরে দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ইনিংস শুরু করলেন অমিত অনিলচন্দ্র শাহ। নির্বাচনের পাশাপাশি সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রশ্নে এ বার পদক্ষেপ করতে চাইছে মোদী সরকার। অদূর ভবিষ্যতে তা রূপায়ণের গুরুদায়িত্বও এসে পড়তে চলেছে অমিতের উপরে। সঙ্গে রয়েছে জঙ্গি সমস্যা মেটানো। সব মিলিয়ে জম্মু-কাশ্মীরই নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বড় পরীক্ষা হতে চলেছে বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্র বিশেষজ্ঞরা। আনন্দবাজার
গত জুনে কাশ্মীরে পিডিপি ও বিজেপি সরকারের জোট ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই প্রথমে রাজ্যপালের শাসন ও ছ’মাসের পর থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি জুনের তৃতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ বর্ষা আসার আগে, না-হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন পর্ব মিটিয়ে ফেলা যেতে পারে।
জুন বা জুলাইয়ে নির্বাচন করার সুপারিশ খারিজ করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কর্তাদের বক্তব্য, একে রমজান মাস চলছে, উপরন্তু সামনেই অমরনাথ যাত্রা। যাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে বিপুল সংখ্যক আধাসেনার প্রয়োজন। ফলে ওই সময়ে কোনও ভাবেই উপত্যকায় ভোট করা সম্ভব নয়। তবে সেপ্টেম্বরে ভোট করতে প্রাথমিক ভাবে আপত্তি নেই কেন্দ্রের। জঙ্গি দমন প্রশ্নে, বিশেষ করে উপত্যকার ক্ষেত্রে সরকারের নীতি কী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মন্ত্রালয়ের অন্দরে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ গুলির পরিবর্তে আলোচনার উপরে জোর দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু অমিত শাহ জঙ্গি দমন প্রশ্নে চরিত্রগত ভাবে রাজনাথের বিপরীত মেরুতে অবস্থান করেন এবং করবেন বলেই মনে হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :