শেখ নাঈমা জাবীন : ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিমসটেক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোয় সার্কের ভবিষ্যত নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। সাউথ এশিয়ান মনিটর
বিজেপির যে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রকাশ করেছিলো, বিমসটেককে জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ইশতেহারে সার্ক নিয়ে কোনো কথা বলা হয়নি। ভারতের পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষকেরা ও মিডিয়ায় মোদির আমলে সার্কের বিবর্ণ চিত্র তুলে ধরে বলেছে, সংস্থাটির বর্তমানে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ভারতের এক কর্মকর্তা বলেন, আফগানিস্তানের সাথে ট্রানজিট, মোটর যান চুক্তিসহ বেশকিছু উদ্যোগে পাকিস্তানের বাধায় ভারত দ্বিপক্ষীয়, বিবিআইএন [বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল] ও বিমসটেকের মতো অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক একীকরণের পথে অগ্রসর হতে বাধ্য হয়েছে। মোদি ২০১৪ সালে সার্ক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর সময় আঞ্চলিক উদ্যোগ নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী ছিলেন। দিল্লিতে তখনকার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ উপস্থিত ছিলেন।
একই বছর মোদি দ্বিতীয়বারের মতো নেপাল সফর করেছিলেন, ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন। মোদির প্রস্তাবিত সার্ক উপগ্রহ ও সার্ক মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট নিয়ে পাকিস্তান কিছুটা আপত্তি জানিয়েছিল। দুই বছর পর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন থেকে ভারত নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। সার্ক শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে কাশ্মিরের পুলওয়ামাসহ কয়েকটি বিরোধে দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে আছে।
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সার্ক ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিদ্ব›িদ্বতায় কাঙ্খিত গতি লাভ করেনি। মঙ্গলবার হিন্দুস্তান টাইমস সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের মতামতের ভিত্তিতে জানায়, সার্কের চেয়ে বিমসটেকের সম্ভাবনা বেশি বলেই ভারত এ দিকে ঝুঁকেছে।
পত্রিকাটি জানায়, বিজেপির পররাষ্ট্রনীতির সাথে বিমসটেক অনেক বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ। পাকিস্তান অবশ্য সার্ক সদস্যদের আমন্ত্রণ না জানানোর ভারতের সিদ্ধান্তটিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চায়নি। ত্রিভূবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খড়গ কে সি বলেন, শপথে পাকিস্তান দাওয়াত না দেয়াতে মাধ্যমে সার্কের সীমানার বাইরে চলে গেলো ভারত। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :