সমীরণ রায়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। ছাত্র শনিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।

প্রতিবেদনটির নিন্দা জানিয়ে এটিকে মিথ্যাচার হিসেবে আখ্যা দিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব দাস যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গণমাধ্যমে অনিয়মের ব্যাপক প্রমাণ উঠে এসেছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রো-ভিসির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, মডিয়ার বক্তব্য এবং পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের বিবৃতির পরও তদন্ত কমিটি কোনো অনিয়ম পায়নি। এখানে শুধুমাত্র ভোটারদের সারির ক্ষেত্রে একটু অব্যবস্থাপনা হয়েছে বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করলাম।

এতে বলা হয়, নির্বাচনের দিন অনিয়মের অভিযোগে সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ ছাড়া সবগুলো জোট নির্বাচন বয়কট করে পুর্ননির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল। পুনরায় নির্বাচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনরত কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙানোর সময় সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে অনিয়ম শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্মোচন করা হবে বলে প্রশাসন যে আশ্বাস দিয়েছিল তদন্ত রিপোর্টে তার বিপরীত ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করলো। তদন্ত কমিটির মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিতর্কিত নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার যে চেষ্টা তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার ছাত্র-শিক্ষক সমাজের জন্য কলঙ্কজনক এক অধ্যায়। ছাত্র ইউনিয়ন তদন্ত কমিটির এই রিপোর্টের নিন্দা জানাচ্ছে ও সম্পূর্ণভাবে তা প্রত্যাখ্যান করছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে ডাকসু নির্বাচনে কোথাও কারচুপির প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম (সিন্ডিকেট) সভায় প্রতিবেদন উত্থাপন করেন তদন্ত কমিটি। পরে সিন্ডিকেট প্রতিবেদনটিকে বৈধতা দেয়।