শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০১৯, ০৯:৪৮ সকাল
আপডেট : ০১ জুন, ২০১৯, ০৯:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তারা উবার ও পাঠাও রাইডের আড়ালে মাদক ব্যবসা করেন!

মাসুদ আলম : গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮৫৮ বোতল ফেনসিডিলসহ আন্তঃ জেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। শুক্রবার গভীর রাতে এরশাদনগর এশিয়া ফুয়েল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-১ এর সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মো.কামরুজ্জামান বলেন, দিনাজপুর থেকে মাদকের একটি চালান আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলো- শ্রী শিবু বর্মন, শ্রী রসেন বর্মন, নূর ইসলাম, লোকমান হোসেন, মোঃ জিহাদ হোসেন ও মোঃ সাদ্দাম হোসেন। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি ট্রাক থেকে ৮৫৮ বোতল ফেন্সিডিল, ৯ টি মোবাইল ফোন, নগদ ৫০ হাজার ৫শ টাকা, ১ টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে শিবু বর্মন জানায়, সে পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে ট্রাকে করে ফেন্সিডিল দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে নিয়ে আসে। মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে চালানপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে দিত। মাদক পরিবহনে রসেন বর্মন তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতো।

রসেন বর্মন জানায়, সে ট্রাকের হেলপার হিসেবে কর্মরত। এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পর গ্রামে কৃষিকাজ করত। কৃষিকাজের ফাঁকে ফাঁকে সে শিবু বর্মন এর সাথে মাদক পরিবহনে সহযোগী হিসেবে কাজ করত। নূর ইসলাম জানায় সে আটক ফেন্সিডিলের চালানটি টঙ্গী থেকে গ্রহণ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের পূর্ব থেকে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে আসে। সে গুলিস্থানে মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবে জুয়ার বোর্ড দেখাশুনা করে এবং মাদক ব্যবসা করে।

লোকমান হোসেন জানায়, সে পেশায় অনলাইন অ্যাপস পাঠাও এর চালক। সে এইচএসসি পাশ করার পর ঢাকায় পাঠাও চালক হিসেবে কর্মরত এবং পাশাপাশি সে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সে তার সহযোগী জিহাদ হোসেনকে সাথে নিয়ে আটক ফেন্সিডিলের চালানটি গ্রহণ করার জন্য প্রাইভেটকারসহ টঙ্গী এলাকায় আসে। প্রাইভেটকারটির মালিক সাদ্দাম হোসেন। সেও উবারের গাড়ি চালক। সাদ্দামের প্রাইভেটকারটি ভাড়া করে মাদকের চালানটি সংগ্রহ করার জন্য আসে তারা। উবারের গাড়ি চালনার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছে সাদ্দাম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়