মঈন মোশাররফ : বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে ক্যানসার চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান জাতীয় ক্যানসার ইন্সটিটিউট। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালসহ বিভাগীয় পর্যায়ের বড় বড় সরকারি হাসপাতালে আলাদা ক্যানসার বিভাগ আছে। জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ক্যানসার ইউনিট আছে। তবে এর কোনোটিই পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র নয় । দেশের মাত্র ১৫টি সরকারি মেডিকেল কলেজে রেডিওথেরাপি বিভাগ থাকলেও রেডিওথেরাপি মেশিন আছে মাত্র ৯টিতে ।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগের সাবেক প্রধান ও ক্যানসার সোসাইটির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক শনিবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, দেশে ১৬০টি রেডিওথেরাপি সেন্টারের প্রয়োজন। আছে মোটে ২৮টি। আবার ওইসব সেন্টারের মেশিনগুলো চালানোর জন্য পর্যাপ্ত ও দক্ষ জনবল নেই।
তিনি আরো বলেন, ক্যানসার চিকিৎসার তিনটি পদ্ধতি সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি। রেডিওথেরাপিরই আধুনিক পদ্ধতি হলো প্রোটনথেরাপি। জাপানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যে হাসপাতাল বাংলাদেশে হবে, সেটা নিশ্চয়ই প্রোটনথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা দিলে ক্যানসার চিকিৎসায় আমরা আরো এগিয়ে যাবো। তবে এটা হতে তো সময় লাগবে। ওই সময়ে আমাদের ক্যানসার চিকিৎসায় যে প্রয়োজন, তা মেটাতে হবে। তা না হলে পরিস্থতির উন্নতি কষ্টকর।
তিনি জানান, বাংলাদেশে এখন ৫০ হাজারের কিছু বেশি ক্যানসার রোগী চিকিৎসা নেন। বাকিরা আমাদের হেলথ সিস্টেমের মধ্যেই নেই। আর এই যারা চিকিৎসা নিতে আসেন, তাদের অর্ধেকই শেষ পর্যন্ত বাঁচেন না। এর প্রধান কারণ হলো সঠিক সময় ক্যানসার বুঝতে নির্নয়ে, চিকিৎসা শুরু না করা ।
আপনার মতামত লিখুন :