শিরোনাম
◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০১৯, ০৬:৫৪ সকাল
আপডেট : ০১ জুন, ২০১৯, ০৬:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বইয়ের বিতর্কিত অংশ টুকু প্রত্যাহার করে জাতি ও বঙ্গবন্ধুর আত্মার কাছে ক্ষমা চাইলেন এ কে খন্দকার

আবুল বাশার নূরু: নিজের লেখা বইয়ের একটি অংশে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ওঠার পর সেই অংশটুকু প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের উপঅধিনায়ক ও সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার (বীরউত্তম)।

শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কে খন্দকার তার লেখা ১৯৭১: ভেতরে বাইরে বইয়ের বিতর্কিত অংশটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে বইয়ে উল্লেখিত অসত্য তথ্যের জন্য জাতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহি আত্মার কাছেও ক্ষমা চান এ কে খন্দকার।

সংবাদ সম্মেলনে এ কে খন্দকার বলেন, আমার লেখা বই ১৯৭১: ভেতরে বাইরে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে প্রথমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশের পর সেটির ৩২ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখিত বিশেষ অংশ ও বইয়ের আরও কিছু অংশের প্রতি সারাদেশে প্রতিবাদ ওঠে। এই অংশটুকুর জন্য দেশপ্রেমিক অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। এই তথ্যটুকু যেভাবেই আমার বইতে আসুক না কেন এই অসত্য তথ্যের দায়ভার আমার। বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে কখনোই জয় পাকিস্তান শব্দটি বলেননি। তাই আমি আমার বইয়ের ৩২ নম্বর পৃষ্ঠার উল্লেখিত বিশেষ অংশযুক্ত পুরো অনুচ্ছেদটুকু প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। একইসঙ্গে আমি জাতির কাছে ও বঙ্গবন্ধুর বিদেহি আত্মার কাছে ক্ষমতা চাইছি।

বইটির একটি অংশে এ কে খন্দকার বলেন যে, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক সমাবেশে নিজের ভাষণ শেষ করে জয় পাকিস্তান বলে স্লোগান দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মূলত এই তথ্যটির জন্যই বইটি সমালোচনার মুখে পড়ে। সেসময় বইটি নিষিদ্ধ করারও দাবি ওঠে। বইটিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কে খন্দকার জানান যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চান। তিনি বইয়ের বিতর্কিত অংশের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে চান। আজ প্রকাশ্যে সেই ক্ষমা চাইলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়