মুহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, ঢাবি : ডাকসু নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি সুষ্ঠু প্রতিবেদন দেয়নি হয়নি অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুতে জিএস (সাধারন সম্পাদক) পদপ্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তিনি ৩১মে শুক্রবার আমাদের সময়.কম কে এবিষয়ে আদালতে রিট করবেন বলে জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) কারচুপির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন রাশেদ খান। ২১ মার্চ অভিযোগের ভিত্তিতে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনটি উঠলে প্রতিবেদনে নির্বাচনে কোনো ধরণের কারচুপি পায়নি বলে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নুর-রাশেদের প্যানেল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করা অন্যান্য প্যানেলগুলো।
রাশেদ খান আমাদের সময়.কম কে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। আমাকে বলেছিল যে আমি যেন তদন্ত কমিটির প্রতি আস্থা রাখি। আমি তদন্ত কমিটির উপর আস্থা রেখেছিলাম ডাকসু নির্বাচনে যে কারচুপি হয়েছে তারা তা প্রতিবেদনে তুলে ধরবেন। কিন্তু তারা একটি দুঃখজনক মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে শিক্ষার্থীদের আস্থা হারিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে অধ:পতন হতে শুরু করেছে তা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বুঝতে পারছি।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বচোখে দেখা বাংলাদেশ কুয়েতমৈত্রী হল, রোকেয়া হলের কারচুপির ঘটনায় শিক্ষকরা জড়িত ছিলেন। এবিষয়ে প্রমাণ দেয়ার পরেও তদন্ত কমিটি বলেছে তারা কোনো কারচুপি পায়নি। তাই এই কমিটির প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতি আমার কোনো আস্থা নেই। আমি আদালতের আশ্রয় নিব।
উল্লেখ্য, গণিত বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক সাজেদা বানুকে আহবায়ক করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা ছিলেন - জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. মহিউদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিক উজ জামান, সিন্ডিকেট সদস্য জনাব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শারমিন রুমি আলীম। কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন - বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান।
আপনার মতামত লিখুন :