জুয়েল খান : সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের খবর সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারছি। যেখানে আমরা এখন সভ্য এবং আধুনিক সমাজে বসবাস করছি, সেখানে একজন নারী কীভাবে পুরুষের কাছে অনিরাপদ বোধ করে। সভ্য সমাজের প্রথম লক্ষণ হচ্ছে নারী-পুরুষ উভয় মিলে একটা বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করা, এমনটাই মনে করেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীর সমান অংশগ্রহণ যেখানে সরকারের প্রাধান্যের বিষয়, সেখানে কিছু মানুষের বিকৃত চরিত্রের কারণে পুরো সমাজের উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। নারী পুরুষের কাছে নিরাপদ বোধ করছে না। শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে যেখানে বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে শুধু একটা কারণেই আমাদের এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে আর সেটা হলো সমাজের নারীদের নিরাপত্তা।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে মামলার সংখ্যা বেশি এবং বিচারকের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে নারী নির্যাতিত হলে সেই মামলার বিচার হতে অনেক সময় লাগছে। অনেক ক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থীর বিচার পাওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার কারণে বিচার পাওয়ার আশা ছেড়ে দেয় এবং এ সুযোগে অপরাধী পার পেয়ে যায়। নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিচার যদি দ্রুত করা সম্ভব হতো, তাহলে হয়তো বিচার পাওয়া সহজ হতো। আবার অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের আলামত, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সাক্ষী-প্রমাণ হাজির করতে অনেক বেগ পেতে হয়ে কেননা স্থানীয় প্রশাসনের হাতে মামলার তদন্তের দায়িত্ব থাকায় তারা বিভিন্ন সময় স্থানীয় প্রভাবে মামলার অভিযোগপত্র দিতে দেরি করে এর কারণে বিচারপ্রার্থীরা বঞ্চিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :