মোহাম্মদ মাসুদ : চুয়াডাঙ্গায় ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ঘুষ নেয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে সাত লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও কাঙ্খিত চাকরি পাননি ঘুষদাতা। ডিবিসি নিউজ
অভিযোগকারি চাকরি প্রত্যাশী জাবিউল ইসলাম জানান, বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তাকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বিষয়টা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানেন। সাদা খাতা জমা দিলেও তার নাম্বার সবার থেকে বেশি হবে।
বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকাও নেন বলে অভিযোগ করেন জাবিউল ইসলাম। জাবিউলের দাবি, তাকে আগে থেকেই প্রশ্ন পত্র সরবরাহ করা হলেও পরীক্ষার হলে সরবরাহকৃত প্রশ্নের মাত্র ৩০ ভাগ কমন পড়ে। পরে ফলপ্রকাশে অন্য জনের নাম এলে তিনি জানতে পারেন, তার চেয়েও বেশি টাকা দিয়ে চাকরিটি পেয়েছেন ঐ প্রার্থী।
ঘুষের এসব টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে। সেখানে দেখা যায় ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একজন অভিভাবক সদস্য ও বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ঘুষের টাকা গুনে গুনে নিচ্ছেন।
ভিডিও সম্পর্কৈ শহিদুল ইসলামকে বলা হলে এর সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।
অন্যদিকে ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলামের দাবি, সঠিক নিয়ম মেনে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অন্য কার অসদুপায় অবলম্বনের বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।
এদিকে, চাকরি নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেয়ার পর যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানান চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন।
আপনার মতামত লিখুন :